কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনায় বসলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ছাত্র স্বার্থ এবং স্বাস্থ্যবিধিকে প্রাধান্য দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইউজিসি আগে যে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছিল সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গাইডলাইন দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিন বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ” সংকটময় পরিস্থিতিতে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতর জানিয়েছে। রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। আমরা ছাত্রদের সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারি না।” রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, “এই অবস্থায় শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা সম্ভব নয়। রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন নতুন নির্দেশিকা ইউজিসি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।” পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে।”
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা বা ফাইনাল সেমিস্টার বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে এবং পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের শিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রের নির্দেশিকার পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।