৮১ বছর বয়সী বন্দি ভারভারা রাও অত্যন্ত সঙ্কটজনক৷ কারাগারেই মৃত্যু হতে পারে তাঁর৷ এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট এই তেলুগু কবি’র স্ত্রী-কন্যা৷ ২০১৮ সালে এলগার পরিষদ মামলায় রাওকে পুনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। করোনা সংক্রমণের ভয়, শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তাঁর জামিন ৫ বার খারিজ হয়েছে।
রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে তাঁর স্ত্রী হেমলতা ও তিন কন্যা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জেলের মধ্যে যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে বিশিষ্ট তেলুগু কবি- সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী ভারভারা রাও-এর৷ রাওয়ের স্ত্রীর কাতর আর্জি, “ভারভারা রাওকে দয়া করে আপনারা জেলের ভিতর মেরে ফেলবেন না।”
ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে ৮১ বছরের রাও-এর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। চিকিৎসা হচ্ছে না৷ বলা হয়েছে,
গত ২৮শে মে তালোজা জেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পরে ভারভারা রাও’কে সরকারি জে জে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো৷ কয়েক দিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার কিছুই উন্নতি হয়নি।
শনিবার, ১২ জুলাই ভারভারা রাও রুটিনমতোই ফোন করেন। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে কোনও কথাই ঠিকমতো বলতে পারেননি। তিনি কথা ভুলে যাচ্ছেন। ফিরে যাচ্ছেন, তাঁর পিতা-মাতার মৃত্যুর কথায় যা ৫০ বছর আগে ঘটেছিল। বাকি কথাও অসংলগ্ন। কথার মধ্যে হিন্দিও বলছেন।
এক সহবন্দি ফোনে রাওয়ের পরিবারকে জানান, লেখক-কবির আর নিজে দাঁত মাজার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। নেই চলাফেরার শক্তি। নিজের দৈনন্দিন কাজটুকুও আর করতে পারছেন না। ভুগছেন হ্যালুসিনেশনে। সোডিয়াম-পটাসিয়ামে ভারসাম্য নেই৷ রয়েছে স্নায়বিক সমস্যাও৷ জে জে হাসপাতালের রিপোর্টেও এ সব কথা বলা ছিল।
পরিবারের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে৷ পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে রাওয়ের যেন কোনও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। তাঁর যে শারীরিক, মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তার জন্য বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন। জেল কর্তৃপক্ষ যদি তা না পারেন, তা হলে পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হোক তাঁর চিকিৎসা করানোর।
ওই বিবৃতিতে এ কথাও বলা হয়েছে, কেন তাঁকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হল সে প্রশ্ন এখন তারা তুলছে না৷ এখন একমাত্র চিন্তা তাঁর সুচিকিৎসা। কারণ বিচারাধীন বন্দিরও জীবনের অধিকার আছে।