কলকাতাকে পটভূমি করেই শুরু হয় উপন্যাস লেখা। তবে সেই উপন্যাসে সিটি অফ জয় এর স্বাদটা নেই বললেই চলে। আবছা অন্ধকারের শহরের ছবি এঁকেছেন আমেরিকা নিবাসী মেঘা মজুমদার।
বাঙালি তরুণীর প্রথম উপন্যাস ‘আ বার্নিং’। এই উপন্যাসের প্রশংসা করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। লেখক এর প্রথম উপন্যাস হিসেবে আ বার্নিং কে ব্যতিক্রমী বলেছেন লেখক আমিতাভ ঘোষ। সোশ্যাল অ্যানথ্রোপলজি ছাত্রী মেঘা। আমেরিকার হার্ভার্ড ও জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন তিনি। উপন্যাসের প্রতিটি খণ্ডে রয়েছে বুদ্ধিমত্তার চমক। মেঘার জানান, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে এমন এক উপন্যাস লিখতে চেয়েছিলেন তিনি। ওয়েব সিরিজের গতিকে উপন্যাসের পাতায় ধরাতে পেরেছেন বাঙালি কন্যা। অগণিত পাঠক থেকে বিভিন্ন মাধ্যম এই সাফল্যের কথা সরাসরি জানিয়েছেন।
আ বার্নিং’-এর কেন্দ্রে রয়েছে একটি মেয়ে। যার নাম জীবন। কলকাতার বস্তির বাসিন্দা এই জীবন মুসলমান। জীবন দেখতে পায়, কিছু লোক একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করছে। সে ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় শ’খানেক লোকের। গোটা ঘটনা ঘটেছিল পুলিশের সামনেই। অথচ নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল পুলিশ। জীবন সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস দেয়, “যদি আমাদের মত সাধারন মানুষকে পুলিশ সাহায্য না করে শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে মৃত্যু দেখে, তাহলে এই ভূমিকার মানে এটাই নয় যে সরকারও সন্ত্রাসবাদী?”
উপন্যাসের কাঠামোকে নিউইয়র্ক টাইমস তুলনা করেছে
জাপানের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়ার ছবির ক্যামেরা টেকনিকের সঙ্গে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুরোসাওয়া তাঁর ছবিতে তিনটি ক্যামেরার নজরকে রাখতেন। যার মধ্যে একটি ‘গেরিলা নজর’, যা আখ্যানকে অন্তর্ঘাতের দিকে নিয়ে যায়।





























































































































