মুকুল রায় দিল্লি পৌঁছেছেন। বেশ কিছুদিন পর। উঠেছেন ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউতেই। বাড়িটি মুকুলের পুরনো। তবে এখন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর নামে বরাদ্দ। মুকুলের সঙ্গে আছেন সব্যসাচী দত্ত। আপাতত অন্তত চারদিন দিল্লিতে থাকবেন মুকুল। তিনি অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং রামলালের সঙ্গে করবেন। ইতিমধ্যেই তিন নেতার দপ্তরে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দিল্লি এসে গিয়েছেন। তাঁকে ডেকে নিলে ভালো হয়। মুকুল বিস্তারিত কথা বলছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও স্বপন দাশগুপ্তর সঙ্গে। মুকুলের এবার স্পষ্ট কথা: বিজেপির তাঁকে লাগবে কিনা, কিংবা তাঁর নির্দিষ্ট কাজ কী, জানিয়ে দেওয়া হোক। কারণ কাজের মানুষের পক্ষে ” স্টে হোম, স্টে ওয়েল” নীতিতে চলা অসম্ভব। সূত্রের খবর, কৈলাস দিল্লিকে বুঝিয়েছেন বাংলায় ভোটের আগে মুকুলকে মন্ত্রী করা দরকার। কারণ দুবছর ধরে উপেক্ষিত মুকুল এখন বিকল্প কিছু ভাবলে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়বে। নভেম্বর ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশে দশটি রাজ্যসভার আসনে নির্বাচন। বাংলার রাজনীতির স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুকুলকে জিতিয়ে আনা হোক। যদিও রাজ্যে দলের উল্টোশিবির তা চায় না। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সুস্থ হলেই কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও রদবদল। ভোটের অঙ্কে গুরুত্ব পাবে বাংলা, বিহার। এই কারণে মুকুলকে মন্ত্রী করার একটি আবহ তৈরি হয়েছে। মুকুল নিজে এই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে নিতে চান। সেই সঙ্গে আরও দুএকটি বিশেষ জরুরি কথা তিনি একান্তে অমিত শাহকে বলবেন। বুধবার রাতেও একজনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুকুল।