বাস-অটোর কর্মীরা সন্ত্রস্ত করোনার সংক্রমণ নিয়ে, অপ্রতুল পরিবহনে যাত্রীও হাতেগোনা

0
2

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্যারাকপুর থেকে ডানলপ। বুধবার চিত্রটা বদলেছে। তবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে রাস্তায় পর্যাপ্ত বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে । গত তিনদিন বিভিন্ন জায়গায় বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। সেই দুর্ভোগের সাক্ষী ছিল এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ। আজ যাত্রীরা সেভাবে পথে বের হননি। কারণ একটাই, সবাই যাচাই করে নিতে চাইছেন বাস্তব পরিস্থিতি । যার নিট ফল, বিভিন্ন রুটের যে বাসগুলি পথে দেখা গিয়েছে সেগুলিতে যাত্রী সংখ্যাও নেহাতই কম। লেকটাউন-ধর্মতলা রুটে বাড়ানো হয়েছে বাসের সংখ্যা।
সরকারি আশ্বাসে পুরনো ভাড়াতেই পথে নামছে বেসরকারি বাস , মিনিবাস। ‘আনলক-১’ এর তৃতীয় দিনেই কিছুটা সুর নরম করেছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন।
কিন্তু সংগঠনের অলিখিত নির্দেশে বাসের কন্ডাক্টরের কোনও কোনও রুটে যাত্রীদের কাছে সামান্য বেশি ভাড়া চাইছেন । অধিকাংশ যাত্রীই নূন্যতম ১০ টাকা ভাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ২৩৪ এবং ২৩৪/১ রুটের কন্ডাক্টররা। একই পরিস্থিতি শহরের অন্যান্য রুটেও। পথে দেখা মিলেছে অল্প সংখ্যক ২৩০,৭৮, ২১৪-এ, মিনিবাসের।
এরই পাশাপাশি অটো চালকদের আসন সংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নেওয়ার কথা সরকারি তরফে জানানো হলেও নিরাপত্তার খাতিরে অধিকাংশ অটোচালক দুজনের বেশি যাত্রী তুলছেন না। কোনও কোনও অটোচালক জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও কিন্তু তাদের দুজনের বেশি যাত্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি যারা অটো যাত্রী তাদেরও বক্তব্য, যেহেতু অটোতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনটেন করা সম্ভব হচ্ছে না, সেই কারণে তারাও চান সামান্য বেশি ভাড়া হলেও সেই অর্থ ব্যয় করে মাত্র দুজন যাত্রী নিয়ে অটো নিজের গন্তব্যে যাক। সবমিলিয়ে বুধবারের যা চিত্র তাতে সরকারি নির্দেশ পরিবহণ দফতরের ঘোষণা সবকিছুকে কিন্তু পিছনে ফেলে দিয়েছে অটোচালক থেকে বাসচালক এমনকি বাসের কন্ডাক্টর প্রত্যেকের নিরাপত্তার বিষয়টি।
যদিও বাসের কন্ডাক্টররা জানিয়েছেন যে, সরকারি তরফে তাদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ও হাতের গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। তবুও তারা রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত্র যে শুধুমাত্র এভাবে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে, তারা কতদিন পরিষেবা দিতে পারবেন।

ছবি- দেবস্মিত মুখার্জি