প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুজরাত৷ ওই রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নের সামনে দাঁড়ালো৷
‘বিশাল অপরাধ’ করেছিলেন গুজরাত হাইকোর্টের দুই বিচারপতি৷ গুজরাতে সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে আমেদাবাদে করোনা- পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি পরদীবালা ও বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা এই মামলার শুনানি চলাকালীন আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালকে ‘অন্ধকূপ’ বলেছিলেন।
আমেদাবাদে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ও হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে দুই বিচারপতি রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
করোনা মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার উল্লেখ করে ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারকে দুরমুশ করেছিলেন গুজরাত হাইকোর্টের এই দুই বিচারপতি!
পরিণতি ভালো হয়নি৷ বদলে গেলো এজলাশের গঠন৷ ওই দুই বিচারপতির হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো সংশ্লিষ্ট মামলাটি৷ নতুন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে৷
ওদিকে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মন্তব্য করেছিলেন, “সরকারের সমালোচকদের ‘হতাশার দূত’৷ কিছু হাইকোর্ট সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে।” আর গুজরাত সরকারের সমালোচনা করার “অপরাধে” গুজরাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ শুক্রবার নির্দেশ দিলেন, “নতুন ভাবে ওই বেঞ্চ গঠন হবে। বিচারপতি পরদীবালা তাঁর সঙ্গে বেঞ্চে বসবেন। বিচারপতি ভোরা বসবেন বিচারপতি আর এম ছায়ার সঙ্গে।
কংগ্রেস আগেই অভিযোগ তুলেছে, দিল্লির হিংসায় উস্কানির জন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার পরেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে গুজরাতে এভাবে বেঞ্চে বদলের পরেও সত্যি ঢাকা যায়নি৷ বিজেপির স্বস্তিও মেলেনি। সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে আমেদাবাদে করোনা-পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। এদিন প্রধান বিচারপতি নাথ ও বিচারপতি পরদীবালার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই। এর ফলে তথ্য লুকানোর ক্ষমতা
গুজরাতের সরকারের হাতে আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷































































































































