করোনার জেরে লকডাউন এবং তারপর আমফান, জোড়া আঘাতে বিপর্যস্ত কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া৷ বিপন্ন প্রকাশক আর পুস্তক ব্যবসায়ীরা৷ ক্ষতিগ্রস্ত বইপাড়াকে মূলস্রোতে ফেরাতে কলেজ স্ট্রিটের ব্যবসায়ী ও প্রকাশকদের এক সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত বই ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে চলেছে বলে অভিযোগ উঠলো৷
ওদিকে বিপন্ন প্রকাশক আর পুস্তক ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে ৮টি সংগঠন মিলে তৈরি হয়েছে “বইপাড়া বাঁচাও কমিটি”। এই কমিটির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, “বইপাড়া বাঁচাও কমিটি”-ই এক জানালা নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বই ব্যবসায়ীদের সহায়তা করবে। কমিটির মূল নিশানায় পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক সভার সম্পাদক শঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, ‘গিল্ড যে ভাবে বই বাজারের জন্য টাকা তুলছে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সকলেই পাঠ্যপুস্তক ও সহায়িকার বিক্রেতা। অনেক প্রকাশকও তাই। এদের সঙ্গে গিল্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ তাঁদের ছবি দেখিয়ে গিল্ড দেশ বিদেশ থেকে টাকা তোলার আবেদন করেছেন।” অভিযোগ উঠেছে, গিল্ড লক্ষ লক্ষ টাকার সহায়তার ডাক দিয়েছে। সেই অর্থের জোগান এবং বণ্টন ঘিরে বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশক সমিতিগুলির মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে৷ “বইপাড়া বাঁচাও কমিটি”-র বক্তব্য, গিল্ড যেন এই সাধারণ তহবিলে তাঁদের সংগ্রহ করা টাকা জমা করে। কলকাতা পাবলিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিশিরবিন্দু চৌধুরি বলেছেন, ‘কেবল কলকাতা বইমেলা আয়োজন করা ছাড়া গিল্ডের আর কোনও ভূমিকাই সারা বছর দেখা যায় না। অথচ এই সময়ে তাঁরা মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন। ছোটমাপের বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশকদের জন্য গিল্ডের কোনওদিনই ভূমিকা ছিলোনা”৷




























































































































