বেসরকারি হলেও অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকায় সম্প্রতি যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এবং স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোভিড হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করবে সরকার। চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা সাফিকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সমস্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু হাসপাতালের নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই কিট দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে গতকাল, সোমবার থেকে কেপিসি হাসপাতালের প্রায় ২৫০জন নার্স ও ২০০ জনের বেশি হাউসস্টাফ ওই হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। যদিও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসা পরিষেবায় কোনওরকম ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।
একেই কোভিড হাসপাতাল, তার উপর চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত নার্সরা যদি বিক্ষোভ দেখান, সেক্ষেত্রে পঙ্গু হয়ে যাবে হাসপাতাল। তাই তড়িঘড়ি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবরকমের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন বলে জানা গিয়েছে। কর্মীদের ডিউটির পর হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির পরও নার্সদের একাংশ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে নার্সদের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, বিরাট বড় কেপিসি হাসপাতালের শুধুমাত্র ১ নম্বর ব্লকে ২০০ শয্যার করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র করা হয়েছে। কেপিসি হাসপাতালের সিইও জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নার্স ও হাউসস্টাফরা করোনা রোগীদের নিয়ে কাজ করতে চাইছেন না। সরকার কিট দিয়েছে। দু-মাস ধরে তাঁদের হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করেছি। তার পরও বেশ কিছু নার্স কাজে যোগ দেননি। বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি। কোনওভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যবস্থাই আমরা করছি।”




























































































































