বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতিই ছিল না বলে ফিরহাদকে তুলোধনা করলেন সাধন পান্ডে

0
2

প্রথমে প্রাক্তন মেয়র আর এবার একেবারে রাজ্যের মন্ত্রী। আমফান বিপর্যয় মোকাবিলা প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ববি হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর পূর্বসূরী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, রোগী আইসিইউতে যাওয়ার পর চিকিৎসা শুরু করে লাভ কী! আর রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে আরও দু’কদম এগিয়ে অনেকটা বিরোধীদের সুরে বিঁধলেন পুর প্রশাসককে। সরাসরি অভিযোগ, আমফান মোকাবিলায় পুরসভার কোনও প্রস্তুতিই ছিল না। কলকাতার এমএলএদের কেন ডাকা হল না! ডাকা তো যেতোই প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সিইএসসিকে কেন দশ বছর ধরে মোনোপলি ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে? একরাশ প্রশ্ন। ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন।

আমফান বিপর্যয় মোকাবিলা প্রসঙ্গে :

আমার মনে হয় কলকাতা পুরসভার আরও বেশি প্রস্তুতির দরকার ছিল। ৫ হাজার গাছ পড়েছে। হাতে রয়েছে ৮৫টি কাটার। কেন কম থাকবে?প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটা করে কাটার থাকা দরকার ছিল। পুরসভা এই প্রস্তুতি নেয়নি। দুঃখজনক হলেও এটা বাস্তব চিত্র। বরোগুলোকে আরও শক্তিশালী করা উচিত ছিল। বিপর্যয়ের পর যে সমস্ত জিনিস দরকার সেগুলো সেখানে সংগ্রহ করে রাখা দরকার ছিল। আমফান শুরু হওয়ার আগে থেকেই যখন এই বিতর্ক শুরু হয়েছে তখনই তো পুরসভার মাথায় রাখা উচিত ছিল যে কলকাতায় এত এত গাছ আছে। সেগুলো পড়ে গেলে কাটার ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোকে যেমন আগাম প্রস্তুতি নিতে হয়… আমার এত রোগী আসছে, তাহলে এতগুলো ভেন্টিলেশন লাগবে।

প্রসঙ্গ পুর কমিশনার বদলি :

এর মাঝে দেখলাম খলিল আহমেদকে বদলি করা হলো। খলিল আহমেদ ভালো লোক, কাজের লোক। একটু গাইডেন্স দরকার। কলকাতার যে প্রশাসক হয়েছে তার কাছেই মানুষ এটা আশা করে।

এমএলএদের নিয়ে কেন বসা হল না?

করোনা মোকাবিলায় এমএলএদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল, তাদের উপর ভরসা করা উচিত ছিল, তাদের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। ঘটনার আগে তো এমএলএদের ডেকে একদিন বলতে পারতেন যে তোমাদের পরামর্শ দাও। শোভন চট্টোপাধ্যায়, তিনিও তো এমএলএ। তাঁকেও ডাকা উচিত ছিল। কাউন্সিলরের চাইতে এমএলএদের ক্যাপাসিটিটা অনেক বড়। আর সেটাকেই ব্যবহার করা হলো না! আশ্চর্য!এটা প্রশাসকের দায়িত্ব, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নয়। যখনই খবর পেলেন ঝড় হবে, তখনই আমাদের ডাকা উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। ফলে আমরা আমাদের পরামর্শ দিতে পারিনি।

নিজেই কেন গাছ সাফাইয়ে?

কর্পোরেশন কবে কাজ করবে কিংবা প্রশাসকের কবে নজর পড়বে, তার অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। উনি কলকাতার এমএলএদের কোন খবর দেন না, খবর নেন না।

রেশন নিয়ে অভিযোগ :

কত কষ্ট করে রেশনের ফর্ম জোগাড় করেছি, হাজার খানেক মতো। বরো অফিসে জমা দিতে গিয়েছি। বলছে আপনার ফর্ম নেব না! অদ্ভুত! ভাবা যায় না! তখন ববিকে ফোন করেছি। বলেছি, এসব কী চলছে? মানুষ খেতে পাচ্ছে না আর আমরা রেশন কার্ড ছাড়া ফর্ম দেব না! এ নিয়ম কোথাকার!

প্রসঙ্গ সিইএসসি :

মনোপলি সংগঠন। জ্যোতিবাবু, বুদ্ধদেবের আমলে আমরা সিইএসসির বিরোধিতা করেছি। কিন্তু আমরা সিইএসসি সম্বন্ধে এখন চুপ কেন? শুনলাম অনেক হয়েছে না..এনাফ ইজ এনাফ… কী সব যেন বলেছে ববি। এসব কথা বললে হবে না। কলকাতায় দুটো সংস্থা নেই কেন? মুম্বইতে আছে। এখানে কেন থাকবে না? কেন আমরা একটা কোম্পানিকে মেনে নিচ্ছি? এটা সরকারকে চিন্তা করতে হবে, পুরসভাকেও চিন্তা করতে হবে।