করোনা আবহের সর্বধর্ম সমন্বয়ে ইফতারের সামগ্রী বণ্টনে সম্প্রীতির বার্তা মিমির

0
6

মারণ ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি। সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনে চলছে লকডাউন। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে পবিত্র রমজান। এই সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন দিনভর উপোস করে থাকেন। আর সন্ধ্যা গড়ালেই শুরু হয় ইফতার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ গরিব মানুষ ইফতারের উপকরণ জোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা।

তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর এই সকল মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের হাতে ইফতারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু করোনার জন্য সাংসদ নিজেও গৃহবন্দি রয়েছেন। তবে বন্ধ হয়নি তাঁর জনদরদী-মানবিক কাজগুলি।

মিমির নির্দেশে তাঁর আপ্ত সহায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য পৌঁছে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে। তুলে দিচ্ছেন ত্রাণ কিংবা ইফতারের সামগ্রী। এদিন তার ব্যতিক্রম হলো না।

আজ, সোমবার যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এম. এন. রায় রোডে “রাজপুর ঈদ মিলন কমিটি”র পক্ষ থেকে ২০০ জন পরিবারের হাতে ইফতার ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হলো। কমিটির কনভেনার মুন্না জাকির মন্ডলের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালিত হলো।

তবে এদিনের কর্মসূচি ছিল অভূতপূর্ব। আমাদের দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে মর্যাদা দিয়ে পালিত হলো এই অনুষ্ঠান। সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে একেবারে বৈচিত্র্য-এর মধ্যে উঠে এলো ঐক্য। যেখানে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিতের সহবস্থানে ফুটে উঠলো সম্প্রীতির বার্তা। যার কারিগর সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।

 

সকলেই একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগালেন। খুব তাৎপর্যপূর্ণ আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেলো। এই অঞ্চলের ঈদ কমিটির সভাপতি অমিত ভট্টাচার্য, যিনিএকজন পুরোহিত সন্তান।

সব মিলিয়ে এলাকাবাসীদের দাবি, সাংসদের এই উদ্যোগ ও সম্প্রীতির বার্তা আগামীদিনে শুধু যাদবপুরবাসীদের নয়, গোটা বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে সারা দেশকে নতুন ভোরের সন্ধান দেবে।