সংক্রমণের নিরিখে এলাকাভিত্তিক জোন ভাগ করতে পারবে রাজ্য, নির্দেশ কেন্দ্রের

0
5

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন এই লকডাউন অনেক নতুন রূপরেখা তৈরি করা হবে। সেই মতো সব রাজ্যকে গাইডলাইন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দাবি মেনে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোন চিহ্নিত করার ভার রাজ্যগুলিকেই দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। রবিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যগুলিকে সেই কেন্দ্রীয় বিধি মানতে হবে।

কী সেই বিধি?

•কোন এলাকায় করোনা অ্যাকটিভ কেস কত?

•প্রতি লক্ষে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কত

• সাত দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণের হার

• করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হার

•প্রতি লক্ষে কত জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ও পজিটিভ আসছে তার বিচারেই জোন ভাগ করতে হবে।

• এখন থেকে কোনও নির্দিষ্ট এলাকাকে রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোনের কোনও একটির আওতাভুক্ত বলে ঘোষণা করা যাবে।

• জেলা বা পুর এলাকাকে নির্দিষ্ট জোন বলে চিহ্নিত করা যাবে।

• মহকুমা, ওয়ার্ড বা কোনও প্রশাসনিক অঞ্চলকেও নির্দিষ্ট জোনের অধীনে আনা যাবে।

•প্রতিটি মানদণ্ডের ক্ষেত্রেই ‘সমালোচনামূলকস্তর’ ও ‘কাঙ্খিতস্তরের’ নির্দেশ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

সংক্রমণ রোধে জোন চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি কনটেনমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রীতি সুদান তাঁর চিঠিতে ক্লাসটার কনটেনমেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,

• কন্টেইনমেন্টে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে হবে।

• সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে

• স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নজরদারি করতে হবে।

• স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে লাগু করতে হবে

•প্রকাশ্যে থুতু ফেলা যাবে না।

•প্রত্যেক কনটেনমেন্ট এলাকার চারপাশে বাফার জোন চিহ্নিত করতে হবে।

•কোনও কনটেনমেন্টে ২৮ দিন সংমক্রমণের নতুন রিপোর্ট না থাকলে তা সফল বলে বিবেচিত হবে।