আগামী ১২ ঘণ্টায় ‘সুপার সাইক্লোন’এ পরিণত হতে চলেছে আমফান

0
2

এই করোনা আবহেই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আপাতত দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ছেড়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে আমফান। ইতিমধ্যেই অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় ‘সুপার সাইক্লোন’এ পরিণত হবে।

বেলা বারোটা নাগাদ এটি উত্তর উত্তর-পশ্চিম অভিমুখ ছেড়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাঁক নেবে। এরপরই ভয়াবহ রূপ নিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ছেড়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে এগোবে। এই সময় এর নিজস্ব গতিবেগ সমুদ্রের মধ্যে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছাড়িয়ে যাবে।

বুধবার বিকেল বা সন্ধের দিকে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে এটি স্থলভাগের প্রবেশ করবে। ওই সময়ের গতিবেগ হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ সর্বোচ্চ ১৮৫।

মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতাসহ সাত জেলায়। ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় শুরু হবে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই। ওইদিন রাতে ও বুধবার সকালে সেই ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৯৬ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭ জেলায় চরম সর্তকতা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই সাত জেলার প্রশাসনকে নিচু জায়গা থেকে বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সমুদ্রের জলোচ্ছাসের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে যাবে জীর্ণ ও পুরনো পাকা বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।বিদ্যুতের খুঁটি ল্যাম্পপোষ্ট ও বিজ্ঞাপনের হোডিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়লে রেললাইনে রাস্তার ক্ষতি। শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।
বুধবার সড়ক ও রেল পরিবহনে এই সাত জেলায় নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। লঞ্চ পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।