পেনশনের ক্ষেত্রে সব ব্যাঙ্কে একই নিয়ম, সিদ্ধান্ত কর্মীবর্গ মন্ত্রকের

0
2

পেনশন প্রাপকদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে নথি চায় ব্যাঙ্কগুলি। এক একটি ব্যাঙ্ক এক এক রকম নিয়মে নথি চায়। ফলে সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে সমাধান পেতে পেনশন এবং পেনশন প্রাপকদের কল্যাণ বিষয়ক দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিল বিভিন্ন মহল। শনিবার, কর্মীবর্গ মন্ত্রক জানিয়েছে, পেনশন প্রাপকদের ক্ষেত্রে সব ব্যাঙ্ককেই একই নিয়ম মানতে হবে।

দেখে নিন সেই নিয়মগুলি-

১. ফ্যামিলি পেনশন পেতে গেলে স্ত্রী বা স্বামীকে ১৪ নম্বর ফর্ম জমা দিতে হবে না। মূল প্রাপকের সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তিনিই যে পেনশন পাওয়ার যোগ্য তা পিপিও তে উল্লেখ থাকতে হবে। মূল পেনশন প্রাপক মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে।

২. মূল প্রাপকের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে পারিবারিক পেনশনের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই।

৩. ব্যাঙ্কে আগে থেকে জমা থাকা কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথি থেকেই দাবিদারের পরিচয় মেলাবে ব্যাঙ্কগুলি। ব্যাঙ্কে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৪. এবার থেকে আধার ভিত্তিক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পাঠালেই হবে।

৫. মূল প্রাপক ফ্যামিলি পেনশনের ক্ষেত্রে নভেম্বরে মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। বয়স ৮০ -র বেশি হলে অক্টোবর মাসেও জমা দিতে হবে।

৬. প্রতিবন্ধী সন্তানের ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে না। প্রতিবন্ধী সন্তান কোনও তাঁর আয় না-থাকার সার্টিফিকেট নিজেই দিতে পারবেন। অর্থাৎ সেলফ সার্টিফাই করা যাবে।

৭. প্রতিবন্ধী সন্তান পেনশন প্রাপক হলে, ৫ বছর অন্তর সেই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে অভিভাবককে।

৮. স্বামী বা স্ত্রী পুনরায় বিয়ে না করলে সেই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে না। তবে তাঁকে অঙ্গীকার করতে হবে বিয়ে করলে তিনি তা ব্যাঙ্কে জানাবেন।

৯. সরকারি চাকরিজীবীর পেনশন প্রাপক স্বামী বা স্ত্রী সন্তানহীন হলে তিনি পুনর্বিবাহ করলেও পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন। আবার প্রতিবন্ধী সন্তান পেনশন প্রাপক হলেও তিনি বিয়ে করলে পেনশন পাবেন।

১০. গ্রাহককে লাইফ সার্টিফিকেট জমার কথা মনে করিয়ে এসএমএস পাঠাতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর, ১, ১৫ ও ২৫ নভেম্বর তারিখে পাঠাতে হবে এসএমএস। কেউ জমা না দিলে ১৫ ডিসেম্বরের পরে ফের এসএমএস পাঠাতে হবে।