মাদার্স ডে: মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেতে সাত বছরের লড়াই

0
3

মাদার্স ডে আজ। ঘড়ির কাঁটা বারোটা পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়েদের নিয়ে অনেক ছবি। অনেক লেখা। সারা জীবন তাঁরা সন্তানদের স্নেহ ভালবাসায় বড় করে তোলেন। প্রবল কষ্টের আঁচ সন্তানের গায়ে পড়তে দেননা। আজ তাঁদের দিন। তবে সত্যিই কি মায়ের জন্য নির্দিষ্ট একটা দিন যথেষ্ট! এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এমনই এক মায়ের কাহিনী দেখেছে ভারতবাসী তথা সারা বিশ্ব। সেই মা সন্তানের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে গেছেন দীর্ঘ ৭ বছর ৩ মাস।

তিনি নির্ভয়ার মা, আশা দেবী। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির এক চলন্ত বাসে তাঁর মেয়ে গণধর্ষিতা হন। সেই শুরু তাঁর লড়াই। সাধারন ছাপোষা জীবনে তৈরি হলো অনেক জটিলতা। আইনকানুনের লড়াই শেষে জিতলেন সেই মা। তাঁর জেদের কাছে হার মেনেছে যাবতীয় অযৌক্তিক কথা।

২২ ডিসেম্বর দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নির্ভয়ার বয়ান রেকর্ড করে দিল্লি পুলিশ। ২৭ ডিসেম্বর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুদিন পর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। সেই লড়াই শুরু আশা দেবীর। কখনও বলেছেন “আমি আর পারছি না।” ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। “সরকারকে ফাঁসি দিতেই হবে। না হলে আমার মেয়ে কখনও শান্তি পাবে না।”

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ফাঁসি ঘোষণা হয় নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু অক্ষয় কুমার, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মারা নানা রকম আইনি ফন্দির জেরে একাধিকবার পিছিয়ে যায় ফাঁসি। যার নেপথ্যে ছিলেন ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিং। চোখ রাঙিয়ে নির্ভয়ার মাকে তিনি বলেছিলেন, “এই মামলা কখনও শেষই হবে না।” তবে তাতে ভয় পাননি তিনি। আইনের হাত ধরেই শেষ দেখেছেন। ২০ মার্চ নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি হয়। বহু প্রতীক্ষিত সেই মুহূর্ত দেখে নির্ভয়ার মা বলেছিলেন, ” ওঁর ছবি জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি আর বলেছি মেয়ে আজ তুই ন্যায়বিচার পেলি।”