করোনা আবহে মনু সিংভি, বিচারপতি মালহোত্রার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

0
2

লকডাউনের শহরে দুরন্ত আইনি আলোচনা। বিষয় : “কোভিড-১৯ -এর সময়ে ও পরে ব্যবসার ভবিষ্যৎ, এক আইনি আলোচনা” ( Business continuity amidst and beyond covid-19 ; The legal Discourse)। আলোচনায় অংশ নিলেন সাংসদ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ডঃ অভিষেক মনু সিংভি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা, আর সুযোগ্য পরিচালনা করলেন প্রথিতযশা আইনজীবী ও অ্যাকুইল আইনি সংস্থার অন্যতম অংশীদার সুচরিতা বসু। প্রথমেই সুচরিতা আইনি জগতের দুই বিদগ্ধ মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি মনে করিয়ে দেন কোভিডে মৃতের সংখ্যা পৃথিবীতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং দেশে প্রায় ২ হাজার ছুঁই ছুঁই। হু মার্চেই করোনা মহামারীর কথা ঘোষণা করে। তার চার মাস আগে অর্থাৎ নভেম্বরে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। বাকিটা মানব জাতির জীবনে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

আইনজীবী সুচরিতা বসু

এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার পর্যবেক্ষন, পৃথিবীর ১৬২টি দেশ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার প্রহর গুনছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজার এই মুহূর্তে জটিল আর অদ্ভুত পরিস্থিতির আবর্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেখার বিষয় করোনা হামলা আর দেশের কর সংস্কার ব্যবসা-বানিজ্যের উপর কতখানি প্রভাব ফেলে। দেশের বেকারত্ব, সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে করোনা আর এক বিষময় কারণ, যা ভারতের ব্যবসার বাজারে কম্পন ধরিয়ে দিয়েছে। যার দরুন চিন থেকে আমদানির উপর ভরসা করতে বাধ্য হচ্ছি।

বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা

বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি এই সময়ের আইনি ভাষায় সবচেয়ে পরিচিত ও আলোচিত শব্দ “ফোর্স মেজর”-এর বিষয়টি সামনে আনেন। আইনি ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত। যদি কেউ চুক্তি মেনে কাজ করতে না পারে সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করার জায়গা থাকে। কিন্তু করোনার মতো মহামারীর কথা ভাবনাতেই থাকার কথা নয় চুক্তির সময়ে! বাদী-বিবাদী কোনও পক্ষই এই পরিস্থিতির কথা ভাবতে পারেনি। এক্ষেত্রে কী চুক্তি আইনের ৫৬ ধারা লাগু হবে। দুই পক্ষকেই কী চুক্তির বেড়াজাল থেকে রেহাই দেওয়া হবে? এটাই কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। মনু সিংভি কেন্দ্রের নয়া সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের আইনি জটিলতা মুক্তির প্রসঙ্গও আলোচনা করেন।

আইনজীবী, সংসদ অভিষেক মনু সিংভি

নিঃসন্দেহে করোনা আবহে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং উচ্চ মার্গের আলোচনা। আয়োজক ছিল কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই এবং অ্যাকুইল আইনি সংস্থা।