রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ বরদাস্ত করা হবে না, প্রচারে নামুন, জেলার নেতাদের নির্দেশ তৃণমূল সুপ্রিমোর

0
2

লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে জেলা সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার করোনা আবহে এই প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলনেত্রী৷

দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন :

◾রেশন নিয়ে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ‘ভুল’ বোঝাচ্ছে৷ ঠিক বোঝানোর জন্য এখনই দলীয় নেতাদের সক্রিয় হতে হবে৷

◾রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ যে বরদাস্ত করা হবে না৷

◾প্রচার করতে হবে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যে বেশ কিছু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন৷

◾দলের কারও বিরুদ্ধে যদি এ ধরনের অভিযোগ ওঠে, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

◾নিজেদের কাজ করে যেতে হবে। বিজেপি যা রটাচ্ছে, তা যে মিথ্যা, সে কথা মানুষকে আরও ভাল ভাবে বোঝানোর কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে৷

◾মানুষকে বোঝাতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেয়৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সেই কাজ সরকার চালিয়ে যাচ্ছে৷

◾বিজেপি অপপ্রচার চালিয়ে রাজ্য সরকারের সেই সাফল্যকেই ভুলিয়ে দিতে চাইছে৷ এর প্রতিবাদ করতে হবে জোরদারভাবে৷

◾করোনা-সংকটকালে বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি এবং তাঁরা জনসাধারণের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন৷

◾ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই বিজেপি এখন রেশন নিয়ে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালিয়ে সরকারকে হেয় করতে চাইছে, সে চেষ্টা সফল হতে দিলে চলবে না৷

◾জোরদার প্রচারে নেমে বলতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে ভাল মানের চাল দিচ্ছে৷ রাজ্য সরকারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে রেশন দিচ্ছে এবং কেন্দ্র কিছুই দেয়নি৷

◾লকডাউনের জেরে যাঁরা সঙ্কটে, তাঁদের পাশে আরও বেশি করে দাঁড়াতে হবে৷

◾সরকারি রেশনে মাতব্বরি নয়, প্রয়োজনে দলের নেতারা নিজের পয়সায় ত্রাণ দিন৷

◾মনরেগা প্রকল্পে যাতে কাজ দেওয়া যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের, সে কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই দলের জেলা নেতৃত্বকে সক্রিয় হতে হবে৷

◾প্রচার করতে হবে, রাজ্যের যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর জন্য রাজ্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা করবে ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে প্রথমে কোয়রান্টিনে রাখা হবে এবং তার পরে তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে৷

◾সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সময় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর কথা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে৷

◾লকডাউন না ভেঙেই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে জেলা সভাপতিদের৷

◾সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্লক স্তরের বা তার চেয়েও নীচের স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে৷

তৃণমূলনেত্রী এদিনই জানিয়েছেন, আগামী
১০ মে ফের তিনি ভিডিও কনফারেন্স করবেন দলের বিধায়কদের সঙ্গে।