আর কবে কাজে লাগবে পিজির ট্রমা সেন্টার!

0
4

আর কবে কাজে লাগবে এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টার? রাজ্য জুড়ে যখন ভেন্টিলেটরের জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, তখন কেন এই অত্যাধুনিক এই হাসপাতালটিকে ‘লকডাউন’ করে রাখা হয়েছে? প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে।

বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকারের বক্তব্য, সরকারকে নিশ্চিতভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও এই যুদ্ধে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু এইসব হাসপাতালে ক’টি করে ভেন্টিলেটর রয়েছে? ২-৫-৮, এই তো! আর এখানেই তো ২০০-র বেশি ভেন্টিলেটর রয়েছে। এটাই তো রাজ্যের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল হতে পারে। প্রথমত এতবড় বিল্ডিং, আইসোলেটেড বিল্ডিং, এবং কোভিড চিকিৎসার সব রকম সুবিধা রয়েছে। রাজ্যের যে আন্তর্জাতিক কমিটি রয়েছে, তারা কেন এ নিয়ে এখনও ভাবছেন না! লকডাউন থাকায় গাড়ি চলছে না। ফলে এই সময়ে ট্রমা সেন্টারের কাজ কার্যত বন্ধ। তাহলে এই দুঃসময়ে এটিকে কাজে না লাগালে আর কবে কাজে লাগানো হবে!

গতবছর জুলাই মাসে এই ট্রমা সেন্টারটির উদ্বোধন হয়। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ট্রমা সেন্টার তৈরি হয়, যা এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সেরা ট্রমা সেন্টার। কোভিড চিকিৎসার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর এখানে যথেষ্টই রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই বিপদে এগারো তলার হাসপাতলটি কার্যত মাছি মারছে। অথচ ভেন্টিলেটর সহ হাসপাতালটি অনায়াসে কোভিড হাসপাতাল হতে পারে। কেন এখনও এ নিয়ে পদক্ষেপ করছেন না ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টরা যাঁরা সরকারের গ্লোবাল কমিটিতে রয়েছেন? যে কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে হোম আইসোলেশন বা বাড়িতে কোভিড চিকিৎসার কথাও বলতে হচ্ছে!