অক্সফোর্ডে মানব শরীরে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু

0
2

কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু হল মানব শরীরে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দুজনের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটো। আরও ৮০০ জনকে দুটো দলে ভাগ করে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, মানব শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য যে ৮০০ জনকে বাছা হয়েছে, তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ মধ্যে। তাঁদের দুটো দলে ভাগ করে, একটি দলকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আর অন্য দলকে এমন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যাতে শরীরে ম্যানেনজাইটিসের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

তবে কার শরীরে কী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেটা আগে থেকে জানানো হচ্ছে না। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরে সবাইকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
অক্সফোর্ডে প্রথম যাঁর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, সেই মহিলা বিজ্ঞানী এলিসা বলেন, “বিজ্ঞান গবেষণায় যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। পরীক্ষায় যখন যেভাবে প্রয়োজন হবে, আমি সাহায্য করব”।
মানবদেহে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্ট। তাঁর আশা, মানুষের শরীরে 80% কাজ করবে এই ভ্যাকসিন। সংক্রমণও আটকাতে পারবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের আর এক ভাইরোলজিস্ট ডক্টর অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, ট্রায়ালের জন্য বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। টিমে বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ মিলে 800 জনের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হলে আরও বড় মাপের পরীক্ষার জন্য পাঁচ হাজার মানুষের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনের ফল কিছুদিন পর থেকে বোঝা যাবে। তবে এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু।
ভ্যাকসিনের প্রভাবে, প্রথম কয়েকদিন সামান্য মাথাব্যথা বা ঝিমুনি হতে পারে। তারপর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কী ধরনের পরিবর্তন মানবদেহে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর রাখবেন গবেষকরা। সরাসরি করোনাভাইরাস ইনজেক্ট করেও এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা যায়। তবে তাতে ঝুঁকি থাকার কারণে প্রাথমিক ভাবে কোনও জটিল প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন না অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।