করোনা নিয়ে ফের গুজবের জেরে কোণঠাসা স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং তাঁদের পরিবার। একই সঙ্গে এমন দুটি ঘটনা ঘটল এরাজ্যে। এবার পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
বারাকপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি ব্যারাকপুরেরই একটি সরকারি হাসপাতালের কর্মী। অভিযোগ, তাদের বাড়ির এক সদস্য করোনা পজিটিভ, এই মর্মে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালের কর্মী। দিন তিনেক আগে ওই হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ে। এরপর কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ১০ চিকিৎসক-সহ মোট ৭০ জনকে। এরপরই শুরু হয় গুজব। এমনকী গুজবের জেরে পাড়ার কোনও দোকান ওই পরিবারকে জিনিসপত্র বিক্রি করছে না।
অন্যদিকে, কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অশোকনগর নিয়ে গিয়েছিলেন চালক। পরে ওই রোগী র মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপর ওই চালককে একঘরে করে রাখার চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা। শুধু তাই না, পাড়ার লোক রটিয়ে দেয় যে ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গেছিলেন চালক জীবনকৃষ্ণ দে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। চালকের অভিযোগ “আমাকে এবং আমার পরিবারকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। ”
বারাকপুরের ঘটনায় অভিযোগের তীর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস দে দিকে। গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগ, কাউন্সিলর এই গুজব ছড়ানোর মূলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার থানায় ফোন করে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। আইসি দেবকুমার সাধুখাঁ কাউন্সিলর এবং উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদের বাড়িতে যান। ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতালের কাগজ দেখে গৌতম চক্রবর্তীকে বলেন কাজে যোগ দিতে তাঁর অসুবিধা নেই।