‘প্রশাসনিক কারণেই করোনা পরীক্ষায় দেরি’, বিস্ফোরক অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নদের

0
2

সাত চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবং সেই অভিযোগ করলেন কলেজেরই ইন্টার্নরা। সোমবার সন্ধেয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির দিয়ে তাঁরা বলেন, *প্রশাসনিক কারণেই কোভিড 19 পরীক্ষা দেরি করে করা হচ্ছে।* এর ফলে যাঁদের পরীক্ষা হচ্ছে না, তাঁরা হাসপাতালের ইন্টার্ন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত n95 মাস্ক দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ছাড়াই রোগীদের কাছে যেতে হচ্ছে তাঁদের। বিশেষ করে প্রসূতি বিভাগে কর্মরতদের সেরকম সুরক্ষাই দেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের যে 7 চিকিৎসকের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রসূতি বিভাগে কর্মরত।
ইন্টার্নদের আরও অভিযোগ, *হাসপাতালে ঠিকমতো আইসোলেশন করা হচ্ছে না। করোনা সন্দেহ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা করার জন্য ইন্টার্ন বা স্বাস্থ্যকর্মীদের যে পরিমাণ সুরক্ষা বস্ত্র দেওয়া উচিত তা পাওয়া যাচ্ছে না। নির্দেশিকা মতো কোনও ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। আইসোলেশন করে যেখানে রাখা হচ্ছে, সেখানে একটাই ঘর চারজনের জন্য বরাদ্দ এবং তাঁরা সবাই এক শৌচাগার ব্যবহার করছেন।* যেটা গাইডলাইনের বিরোধী।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইন্টার্নরা বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। সেগুলি হল-

• যথাযথ আইসোলেশন

• স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার কোভিড 19 পরীক্ষা

• চিকিৎসা পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালেই সঠিক বসবাসের জায়গা

তাঁদের মতে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ, যাঁরা রোগীদের সংস্পর্শে যাচ্ছেন তাঁদের পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে না। সুরক্ষা কবচও দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত ইডেন হসপিটাল বন্ধ দাবি জানিয়েছেন ইন্টার্নরা। তবে, তাঁদের এই অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।