“পালঘরের হামলাকারী ও আক্রান্তরা একই সম্প্রদায়ের। এই ঘটনা নিয়ে যারা সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
মহারাষ্ট্রের পালঘরে ২ সন্ন্যাসীকে পিটিয়ে মারার ঘটনার প্রেক্ষিতে এ কথা জানালেন ওই রাজ্যের
পুলিশমন্ত্রী তথা NCP নেতা অনিল দেশমুখ। তিনি বলেছেন, ” ২ সন্ন্যাসীকে পিটিয়ে মারার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷” তিনি জানিয়েছেন, যারা একাজ করছে তাদের ওপর কড়া নজর রাখছে মহারাষ্ট্র সাইবার সেল। যে-ই উসকানি দিক, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
পুলিশমন্ত্রী বলেছেন, “এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধৃতদের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। ৯ জন নাবালককে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল হোমে।সন্ন্যাসীদের পিটিয়ে মারার ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।”

গত বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্রে পালঘর জেলার গড়চিঞ্চলে গ্রামে শিশুচুরির অভিযোগে ২ সন্ন্যাসীকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মারে প্রায় শ’খানেক গ্রামবাসী। প্রায় ১০০ গ্রামবাসী সশস্ত্র অবস্থায় সন্ন্যাসীদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। মৃত ২ সন্ন্যাসীর মধ্যে ১ জনের বয়স ৭০ বছর।
পালঘরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘সন্ন্যাসীরা কান্দিভলি থেকে এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা সুরাত যাচ্ছিলেন। পথে আক্রমণের শিকার হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।”































































































































