
2811 লা-ফ্রন্টেরা বুলেভার্ড অস্টিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
16 এপ্রিল, 2020
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে National emergency ঘোষণা করার পর 1 মাস অতিবাহিত। কিন্তু করোনা আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশই উর্ধ্বমুখী। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপ্রান্তের রাজ্য টেক্সাসের রাজধানী শহর অস্টিনের বাসিন্দা আমি। এদেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মত টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ‘stay-at-home’ নির্দেশ জারী করেছিলেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তা সত্বেও করোনার গ্রাস থেকে রেহাই পায়নি এ রাজ্য-ও। আজকের তারিখে টেক্সাসে করোনা আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে 13906 এবং 287। ফলস্বরূপ ‘stay-at-home’ নির্দেশনামার মেয়াদ বাড়ানো হল 8 May পযর্ন্ত। এই নির্দেশনামা অনুসারে টেক্সানরা অতি প্রয়োজনীয় কাজের (essential services) জন্য যেমন খাবার দাবার কেনা, গাড়ির জ্বালানীর জন্য গ্যাস স্টেশন যাওয়া, এমনকী 6 ফিট্ দুরত্ব বজায় রেখে সকাল-বিকেল শরীরচর্চার জন্যেও বেড়োতে পারেন। তবে অন্যথা হলে জরিমানা স্বরূপ 1000 ডলার এবং 180 দিনের জেলবন্দী হওয়ার নির্দেশ আছে। নির্দেশ আছে 10 বছরের ওপর যাদের বয়স তাদের মাস্ক পড়ে বাইরে বেড়োনোর। অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষদের জন্য 14 দিনের নির্বাসন ঘোষিত। এতদ্সত্বেও এ বন্দীদশার শেষ কোথায় কারোর জানা নেই। কর্মসংস্হানের কথা মাথায় রেখে গভর্নর অ্যাবট 50 মিলিয়ন ডলার লোন ক্ষুদ্রশিল্পের খাতে বরাদ্দ করবেন এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। এই বিপদকালীন পরিস্হিতিতে মার্কিনী সুপারমার্কেটগুলোর তৎপরতা উল্লেখযোগ্য এবং তাদের ডেলিভারি বয়দের -ও ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না। এমন দুর্দিনে নিপুণতার সাথে তারা মুদির দ্রব্য সরবরাহ না করলে বিপদেই পড়তে হত আমাদের। কারণ এ শহরে তো আর যত্রতত্র দোকান বা বাজার নেই। ভরসা একমাত্র সুপারমার্কেটগুলোই।

14 এপ্রিল বাংলার নববর্ষ । এ পরবাসে হালখাতা নেই, নতুন জামার গন্ধ নেই, আছে শুধু করোনা অভিশপ্ত সময়ের দীর্ঘশ্বাস। পয়লা বৈশাখের এই পূণ্যতিথিতে আমার রাজ্যের তথা দেশের সকল মানুষের মঙ্গল কামনা করি। আশা রাখি খুব তাড়াতাড়ি-ই আমরা সঙ্কটমুক্ত সুস্হ পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে পাব।






























































































































