করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও পথ এই মুহূর্তে নেই। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এটাই একমাত্র কার্যকরী পথ। তাই ফের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হতে চলেছে লকডাউনের দ্বিতীয় দফার সময়সীমা। শনিবারের ভিডিও কনফারেন্সে এই ইস্যুতে কার্যত একমত হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় পক্ষই। আপাতত ঠিক হয়েছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চললেও বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যগুলি। অর্থাৎ হটস্পটগুলিতে সার্বিক লকডাউন চললেও অন্যত্র পরিস্থিতি বুঝে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যায় কিনা তার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারগুলিই নেবে।
এদিনের বৈঠকে সচেতনতার বার্তা দিতে নিজের উত্তরীয়কে ফেস কভার বানিয়ে পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রীকেই ফেস মাস্ক পরে বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এদিন সার্বিকভাবে যে বিষয়গুলি উঠেছে তা হল:
1) অন্তত দু’ সপ্তাহ বাড়ানো হোক লকডাউনের মেয়াদ। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে এছাড়া পথ নেই।
2) সংক্রমণের হটস্পটগুলিতে সার্বিক লকডাউন লাগু করা হোক।
3) লকডাউন দেশের সর্বত্র যেন একবারে তোলা না হয়। সংক্রমণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ধাপে ধাপে যেন লকডাউন শিথিল করা হয়।
4) অসংগঠিত শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা হোক।
5) অত্যাবশ্যক সামগ্রী ও খাদ্যশস্যের জোগান যাতে দেশের সর্বত্র অব্যাহত থাকে তা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
6) করোনা সংকটের মোকাবিলায় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোদি। বলেন, ২৪ ঘণ্টা আমি সতর্ক আছি। সবসময় আমাকে পাশে পাবেন।






























































































































