লকডাউনে বিশ্বে বাড়ছে গার্হস্থ্য-হিংসা, উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের ভিডিও বার্তা

0
4

করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে আরও একটি কঠিন সমস্যা তৈরি করে চলেছে৷ এই সমস্যা এতটাই জটিল যে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাস উদ্বেগ প্রকাশ করতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন৷

গোটা দুনিয়া থরহরি কম্পমান করোনার দাপটে৷ প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন৷ আর এই লকডাউনের মধ্যেই যেমন বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা, সেই সঙ্গে বাড়ছে গার্হস্থ্য- হিংসাও।
বিশ্বের প্রায় সর্বত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘরোয়া হিংসা৷ পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে এই বিষয়ে এবার সরব হতে বাধ্য হলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাস।
সব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানালেন তিনি৷ সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব জানিয়েছেন, “এই লকডাউনের বিশ্বে মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা। অবিলম্বে সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাই সব সরকারকে”।
আন্তোনিও গুতেরাস বলেন, “কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলার পরিকল্পনার পাশাপাশি মহিলাদের উপর নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিও পর্যালোচনা করতে আমি সমস্ত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি।”
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গুতেরাস বলেছেন, “কোভিড -১৯ দমনের জন্য লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন অপরিহার্য। কিন্তু এর ফলে মহিলাদের উপর অত্যাচারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ ভাবে বেড়েছে হিংসার ঘটনা। কিছু দেশে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য ফোন কলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।”
আন্তোনিও গুতেরাস বলেছেন, “মহিলা এবং মেয়েদের উপর হুমকি বাড়তে থাকলে নিরাপত্তার জন্য তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে৷

মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধির ভয়াবহ চিত্র সামনে এনে তা মোকাবিলার বিভিন্ন পরামর্শও দেন আন্তোনিও গুতেরাস এবং সমস্ত সরকারকে সেই সুপারিশ অনুসরণ করার আহ্বানও জানান।

গোটা বিশ্বের সব রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে গুতেরাসের সুপারিশ:

◾অনলাইন পরিষেবা
বাড়াতে হবে ৷

◾সুশীল সমাজকে সক্রিয় হতে হবে৷

◾অপরাধীদের বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে৷

◾অপরাধীদের সতর্ক করার পাশাপাশি মহিলাদের জন্য নিরাপদ উপায়ের পরিকল্পনা নিতে হবে৷

◾ওষুধ এবং মুদি দোকানে জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে৷

◾আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসাবে ঘোষণা করতে হবে৷