৬দিন বন্ধ, খবরের কাগজ বাড়ি বাড়ি যাবে কি না কাল সিদ্ধান্ত

0
2

ডিজিটাল মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মানুষের হাতে-হাতে ও ঘরে-ঘরে পৌঁছে গেলেও এই প্রথম প্রিন্ট মিডিয়া স্তব্ধ। যাই ঘটে যাক না কেন, বছরের পাঁচ দিন বাদ দিলে (ছুটি) সংবাদপত্র বাড়িতে পৌঁছে যেত বছরে ৩৬০ দিন। কিন্তু করোনা হামলার জেরে সংবাদপত্র প্রেসে ছাপা হওয়ার পরেও তা পাঠকের হাতে পৌঁছায়নি, কারণ, হকাররা তা তুলতে অস্বীকার করেন। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল নিউজপ্রিন্টও ভাইরাস বহন করছে। সেই কারণে হকাররা কাগজ হাতে নিচ্ছেন না। ফলে গত ২৩ মার্চ থেকে বাংলা সংবাদপত্রশূন্য। যদিও সংবাদপত্র বিক্রেতা সমিতির বক্তব্য, আমরা মোটেই বলিনি সংবাদপত্র থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। আমাদের বক্তব্য ছিল, হকাররা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন। বিভিন্ন লোকের সংস্পর্শে আসছেন ও বিভিন্ন বাড়িতে যাচ্ছেন। যদি কেউ (হকার বা ক্রেতা) এভাবে করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে প্রতিকারের উপায় কী? সেই কারণে সংবাদপত্র বিক্রেতা সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, ২৩-২৮ মার্চ অবধি কোনও সংবাদপত্র তুলবে না। ফলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর সুযোগ ছিল না। মানুষের কাছে খবরের কাগজ যায়নি। এ নিয়ে কিছু সংবাদপত্র নিজস্ব চ্যানেলে বিজ্ঞাপনও করে। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি।

আগামিকাল, শনিবার, যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ডে সকাল আটটায় মিলিত হবেন সংবাদপত্র বিক্রেতা সমিতি ও সমস্ত ভেন্ডাররা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে ফের তাঁরা সংবাদপত্র তুলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবেন কিনা। পৃথিবী জুড়ে করোনা সঙ্কটে প্রিন্ট মিডিয়া নতুন সঙ্কটে। আর এই সঙ্কটে বারবার প্রমাণিত হচ্ছে একমাত্র ডিজিটাল মিডিয়ারই কোনও বিকল্প নেই। কিছু সমাজতাত্ত্বিক আর এক কদম এগিয়ে বলেছেন, ডিজিটাল মিডিয়াই ভবিষ্যৎ। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্কের এটি সময় নয়।