যত দিন যাচ্ছে মণি-মাণিক্যের মতো দুর্লভ হয়ে উঠছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অথচ মাত্র অর্ধশতক আগেও কেউ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতো না। ৫০ বছর আগের পৃথিবী সাবান জলকেই ,হাত জীবাণুমুক্ত করার একমাত্র পদ্ধতি বলে মনে করত ।নার্সিং এর ছাত্রী লুপি হার্নান্দেজ প্রথম বোঝেন সাবান জল সব জায়গায় সহজলভ্য নয় ,এবং এটির ব্যবহার যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। জন্মসূত্রে লাতিন আমেরিকার বাসিন্দা লুপি এমন কিছু একটা বানাতে চেয়েছিলেন’ যা সহজেই হাত জীবাণুমুক্ত করে। লুপি হার্নান্দেজ প্রথম তৈরি করেছিলেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ।কিন্তু নার্সিং এর এই ছাত্রীকে কতজনই বা আজ মনে রেখেছে? ১৯৬৬ সালে আমেরিকার বেকার্সফিল্ড এ লুপি, নার্সিং এর ছাত্রী হিসেবে যোগ দেন। তার মনে হয়েছিল সাবান অথবা গরম জল হাতের সামনে না থাকলে বিকল্প হিসাবে অ্যালকোহল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যায়। কিন্তু এই অ্যালকোহল কিভাবে জেল আকারে তৈরি করা যায়, সেটাই ছিল চিন্তার বিষয় ।অবশেষে ৫৪ বছর আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেন লুপি হার্নান্দেজ। প্রথমে শুধু চিকিৎসক মহলেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল, পরবর্তীকালে মার্কিন সেনাবাহিনী হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করত। ২০০৯ সালে এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাস সংক্রমণ ঘটলে, আমেরিকা ও ইউরোপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান পৃথিবীতে করোনা আতঙ্কের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর চাহিদা বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য আজও সাবান জল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর থেকে অনেক গুণে এগিয়ে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.