এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির জন্য দেশের জনগণকে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। যার কাছে যে তথ্য আছে শুধু সেটুকু জানালেই হবে, বাকি অংশ ফাঁকা রাখলেও সমস্যা নেই। এজন্য কাউকে সন্দেহভাজন হিসাবে গণ্য করা হবে না। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এনপিআর নিয়ে দেশবাসীর সংশয় দূর করে এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে আলোচনায় জবাবী ভাষণ দেন অমিত। বলেন, দল-ধর্ম-জাতি দেখা হবে না। দাঙ্গায় যারা জড়িত এবং আড়ালে থেকে যারা ইন্ধন দিয়েছে সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এমন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এধরনের হিংসা করার কথা ভাবতেও পারবে না। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ভিত্তিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। দাঙ্গাকারীদের একজনকেও রেয়াৎ করা হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি বা এনপিআরের জন্য কোনও নথি লাগবে না। কাউকে কিছু জমা দিতেও হবে না। যার কাছে যতটুকু তথ্য আছে তা সঠিকভাবে জানিয়ে বাকি অংশ ফাঁকা রাখলেও কোনও সমস্যা হবে না। এজন্য পরে কাউকে সন্দেহভাজনের তালিকাভুক্ত করার কোনও প্রশ্ন নেই। প্রসঙ্গত বিরোধীদের অভিযোগ, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ, যা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি দশ বছর অন্তর এনপিআর করার নিয়ম। ইউপিএ জমানায় ২০১০ সালে সর্বশেষ এনপিআর হয়েছিল। এই নিয়ে আশঙ্কা অমূলক।































































































































