আজ প্রথমবার লোকসভা ভোটের পর কোনও সমাবেশে যোগ দিতে বাংলায় এলাম। বাংলার মাটিকে প্রণাম।
মমতাদিদি শুনে রাখুন, সামনের বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি।
কোনও রাজপুত্রের হাতে নয়, বাংলার কোনও ভূমিপুত্রের হাতেই থাকবে বাংলার শাসনভার।
মোদিজি লাখ লাখ মানুষকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। বাংলার মানুষ তা জানে।
মমতার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন আমরা শেষ করবই। মোদিজির দেখানো বিকাশের পথে হাঁটবে বাংলার মানুষ।
আজকের এই সভা তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, তোলাবাজি, তুষ্টিকরণ, অনুপ্রবেশকারী, পরিবারবাদের বিরুদ্ধে। এই সভা থেকেই শুরু হচ্ছে আর নয় অন্যায়।
দিদিকে বলো-তে ফোন করে বলুন, আর নয় অন্যায়।
চল্লিশ জনের বেশি বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিজেপির সভার জন্য হেলিকপ্টার নামতে দেওয়া হয়নি। এসব করেও মমতাদিদি বিজেপিকে আটকাতে পারেননি। ১৮ আসনে আসনে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে।
বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলতে চাই, নাগরিকত্ব আইনের জন্য কারুর নাগরিকত্ব চলে যাবে না। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, ছিনিয়ে নেওয়ার আইন নয়।
মমতাদিদি কেন বাংলার উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন? তিনি কেন চান না মতুয়া সমাজের মানুষ নিজেদের অধিকার পান?
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইচ্ছে করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, সপা, বসপা, তৃণমূলের মত দল। সিএএ-র নামে ভয় দেখানো হচ্ছে। মোদি সরকার কোনও বাধা মানবে না। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবেই।
মমতাদিদির কার্যকর্তাদের ভেট দিতে হয়, উন্নয়ন কীভাবে হবে এখানে? ক্ষমতায় এলে বিজেপি উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূলের খুন-সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট আর তোলাবাজির সংস্কৃতি শেষ করে ছাড়বে।
বিজেপি ক্ষমতায় এসে সব দুষ্কৃতীদের জেলে পুরবে।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে এই বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করবে।
আরও পড়ুন-শহিদ মিনারের সভায় দিলীপ ঘোষ যা বললেন