সালটা ২০২০। কিন্তু গুজরাটের ছাত্রীদের হস্টেলে মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা। মোদি রাজ্যে ফের সম্মানহানি মেয়েদের। কলেজের হস্টেলে জোর করে খোলা হল অন্তর্বাস। পিরিয়ডস হয়েছে কি না তা দেখতে ৬৮ জন ছাত্রীকে লাইন করে দাঁড় করিয়ে অন্তর্বাস খোলানো হয়। ঘটনাস্থল গুজরাটের ভুজের সহজানান্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের হস্টেল।
অভিযোগ, ধর্মীয় রীতি লঙ্ঘন করার কথা বলে ৬৮জন ছাত্রীর সঙ্গে এই বর্বরোচিত আচরণ করেছে কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্য শিক্ষকরা এভাবেই ‘পরীক্ষা’ করেন তাঁদের। হস্টেলের এক ছাত্রী বলেন, ‘‘কোনও কথা বলার ভাষা নেই। চরম মানসিক নির্যাতন এটা। লজ্জার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছি।’’
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। ওইদিন হস্টেলের বাইরের বাগানে একটি ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যায়। সন্দেহ করা হয়, কোনও ছাত্রী সেটি ফেলেছেন। কে এই কাজ করেছে, তা জানার চেষ্টা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর হস্টেলের রেক্টর অধ্যক্ষ রীতা রানিগার কাছে অভিযোগ করেন, যে কয়েকজন ছাত্রী হস্টেলের ধর্মীয় রীতি লঙ্ঘন করছে। কারণ, এই হস্টেলে ঋতুমতী নারীদের ক্ষেত্রে ‘আলাদা নিয়ম’ রয়েছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সব মেয়েকে ডেকে পাঠান কমনরুমে। তিনি নিজেই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বলেন। চাপের মুখে ২ জন ছাত্রী খুলে ফেলেন। এর পরেই রীতা ও অন্য মহিলা শিক্ষকরা পরপর ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করান। পিরিয়ডস হলে কলেজের হস্টেলের ঘরে শুতে দেওয়া হয় না বলে জানান ছাত্রীরা। ওই কয়েক দিনের জন্য হস্টেলের নীচে বেসমেন্টে শুতে হয় ওই ছাত্রীদের। তাঁদের রান্নাঘর ও পুজো-অর্চনার জায়গায় তো যেতে দেওয়াই হয় না, সকলের সঙ্গে মিশতেও দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁদের বাসনপত্রও আলাদা রাখতে হয়। পাঁচদিন পরে সেগুলি পরিষ্কার করতে হয় আলাদা করে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছেন উপাচার্য দর্শনা ঢোলাকিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমি ও দুই মহিলা অধ্যাপক রয়েছেন কমিটিতে। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.































































































































