জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ বোঝাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার৷ কেন্দ্রশাসিত এই এলাকার প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক শালিন্দর কুমার জানিয়ে দিলেন, “আগামী মার্চে মোট ৮ দফায় শূন্য থাকা পঞ্চায়েত আসনগুলির উপনির্বাচন হবে৷” উপত্যকার ‘বিশেষ মর্যাদা’ রদের প্রায় ৭ মাস পর এই প্রথম সেখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে চলেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১৩,০০০ পঞ্চায়েত আসন শূন্য৷ ফলে এই ভোটপর্বকে ‘উপনির্বাচন’ বলা হলেও আসন সংখ্যার নিরিখে বেশ বড় পর্যায়ের ভোটই হবে৷
আগামী মার্চে মোট ৮ দফায় প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে বলে ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর’কে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা করা হয়৷ খর্ব করা হয় ‘স্পেশাল-স্ট্যাটাস’৷
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক শালিন্দর কুমার জানিয়েছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে”। আগামী মার্চে মোট ৮ দফায় পঞ্চায়েতের আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে। এর আগে ২০১৮ সালে সেখানে শেষবারের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সেখানকার দুটি বড় রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (PDP) এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কাশ্মীরের জনতার অধিকাংশই ওই নির্বাচন বয়কট করেন এবং সব মিলিয়ে সেই সময় ১২,০০০ এরও বেশি পঞ্চায়েত আসন শূন্য থেকে যায়।
ওদিকে PSA আইনে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, এবং মেহবুবা মুফতিকে গত কয়েকমাস ধরেই বন্দি করে রাখা হয়েছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ওই নির্বাচন হতে চলেছে। গত সপ্তাহেই, উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে জননিরাপত্তা আইনের আওতায় বন্দি রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। ওই আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে কমপক্ষে ৩ মাস পর্যন্ত বন্দি রাখা যায় এবং পরবর্তীতে একাধিক বার ওই বন্দি দশার মেয়াদ বাড়ানো যায়। গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে।






























































































































