লোকসভা ভোটের আগে-পরে ইভিএম কারচুপি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে আপ। বিজেপি জিতলেই ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা কার্যত অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন কেজরিওয়াল ও অন্য আপ নেতারা। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রথমদিকে ইভিএম-বাহানা তুললেও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে জয় পাওয়ার পর তাদের মুখবন্ধ। বিরোধী দলগুলি ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস পাওয়ার পরেও মামলা করে সুপ্রিম কোর্টে। ইভিএম অভিযোগে সারবত্তা নেই বলে তা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরেও আপ এবং তৃণমূল কংগ্রেস বারবার জনমানসে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। এরাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপি 18 আসন জেতার পর যেমন ইভিএম কারচুপির আশঙ্কা করে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা, একইভাবে দিল্লিতে বিজেপি সব লোকসভা আসন জয়ের পর ইভিএম-সংশয় প্রকাশ করেছেন কেজরিওয়ালও। অথচ দিল্লি বিধানসভা ভোটে 62 আসনে জিতে দুর্দান্ত ফল করার পর আপের মুখে ইভিএম নিয়ে কোনও কথা নেই। শূন্য পেয়ে অধিকাংশ আসনে জামানত জব্দ হলেও ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তোলেনি কংগ্রেস। বাকি বিজেপি-বিরোধীরাও বিলকুল চুপ। দিল্লি ভোটে ইভিএম নিয়ে সংশয় নেই মমতারও। তার মানে কী দাঁড়াল? বিজেপি জিতলে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ। আর বিজেপিকে হারিয়ে নিজেরা জিতলে ইভিএমে কোনও সমস্যা নেই। অর্থাৎ ইভিএম হল হারের মোক্ষম অজুহাত এবং বিজেপি বিরোধী প্রচারের একটি সুযোগসন্ধানী অস্ত্র, যা যখনতখন বাজারে ছেড়ে লম্ফঝম্প করা যায়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.