প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভাজনে মদত দিচ্ছেন। ভারতের ২০ কোটি মুসলিমের আশঙ্কা, মোদি হিন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে চাইছেন। ভারতের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। ঠিক এই ভাষাতেই মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করল লন্ডনের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দ্য ইকনমিস্ট’। তাদের মতে, বিভাজনে ইন্ধন জুগিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ফেলছেন মোদি। ‘দ্য ইকনমিস্ট’-এর চলতি সংখ্যার বিষয় ‘ইনটলারেন্ট ইন্ডিয়া’ বা ‘অসহিষ্ণু ভারত’। কাঁটাতারের উপর পদ্ম আঁকা প্রচ্ছদকাহিনিতে সিএএ ও এনআরসির কড়া সমালোচনা করে বলা হয়েছে, নতুন আইনে মুসলিম ছাড়া বাকিদের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৩০ কোটি মানুষের নাগরিকত্ব যাচাই করতে উদ্যত হয়েছে বিজেপি সরকার যাতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু ২০ কোটি মুসলিমের বহু সংখ্যকেরই নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এই পত্রিকার মতে, ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই বিজেপির উদ্দেশ্য। বিজেপির জন্য যা অমৃত, তা ভারতের জন্য বিষ।
‘দ্য ইকনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনকে ‘ঔপনিবেশিক’ বলে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিজয় চৌথাইওয়ালে লন্ডনের এই ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ তুলে ট্যুইট করেছেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে গেলেও দ্য ইকনমিস্টের সম্পাদকরা ঔপনিবেশিক যুগেই বাস করছেন। এরা চায়নি দ্বিতীয়বার মোদি ক্ষমতায় আসুন। এদের প্রচারে সাড়া না দিয়ে ভারতের ৬০ কোটি মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছেন। তাতেই এদের রাগ হয়েছে। ওদের এত দম্ভ যে সুপ্রিম কোর্টকেও জ্ঞান দিচ্ছে! ভারতেই নাকি বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ধরা হচ্ছে। তাহলে ব্রিটেনে কী হচ্ছে? ব্রিটেন যখন অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলে তখন কী বলে এই পত্রিকা?































































































































