কাল, বুধবার, ২২জানুয়ারি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় পাহাড়ে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধিতায় ঐতিহাসিক মিছিল। পাহাড়ের বুকে এই মিছিল নিয়ে যেমন তৃণমূল প্রস্তুতি নিয়েছে কয়েকদিন ধরে, তেমনি শীতে জবুথবু পাহাড়ও মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি। তৈরি বিনয় শিবির। পাহাড়ে জমি উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিল যে দলকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বারেবারে পাহাড়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবু লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে দল। একমাত্র ব্যতিক্রম মিরিক পুরসভা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরে এসেছেন, মিছিল করেছেন। প্রশাসনিক সভা, উত্তরবঙ্গ উৎসব, প্রকল্প ঘোষণা নিয়ে বারবার আসা। এবার তাঁর প্রিয় দার্জিলিংয়ে। জান লড়িয়ে এই মিছিলকে গণজাগরণে পরিণত করতে মরিয়া বিনয় তামাংরা। মিছিল দার্জিলিং রাজভবন থেকে শুরু হয়ে যাবে মোটর স্ট্যান্ড পর্যন্ত। পাহাড়ে বিমল-গুরুংদের প্রভাব অস্বীকার করা মুশকিল। বিগত লোকসভা ভোটে তাদের প্রভাবে বিজেপি জেতে বলে অনুমান। কিন্তু অসমে এনআরসি তালিকা থেকে প্রায় এক লক্ষ গোর্খা নাগরিক বাদ পড়ার কারণে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পাহাড়ে। আর সেটাকেই কাজে লাগাতে মরিয়া তৃণমূল ও বিনয় তামাংরা। পাহাড় এখন পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে সিএএ-এনআরাসি বিরোধী বক্তব্যে। মিছিলে পাহাড়ের বিশিষ্টজনেরাও থাকবেন। থাকবেন বিভিন্ন জনজাতি তাঁদের নিজস্ব পোশাকে। যুবদের মিছিলে সামিল করতে বিনয়রা পরিশ্রম করেছেন। স্কুল পড়ুয়াদের সামিল করতেও চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে কালকের মিছিল ঐতিহাসিক এবং নামবে মানুষের ঢল, যা পাহাড় আগে দেখেনি।





























































































































