নাতি আর নাতবউয়ের জেদের কাছে নত হলেন ঠাকুমা। হলেনই বা তিনি ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবু নতুন প্রজন্মের চিন্তাভাবনাকে মান্যতা দিয়ে প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর পরিবারকে কানাডা, ইংল্যান্ডে ভাগ করে থাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন। তিনি একই সঙ্গে তাঁদের স্বাধীনভাবে বাঁচার ইচ্ছেকেও মান্যতা দিয়েছে বার্কিংহাম প্যালেস।
কিছুদিন আগেই রাজ পরিবারের ‘সিনিয়ার সদস্য’-এর তকমা ঝেড়ে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন প্রিন্স হারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান। স্বাধীনভাবে কানাডা ও ইংল্যান্ডে থেকে রোজগার করে সংসার চালাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই প্রস্তাবে ঝড় ওঠে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে হস্তক্ষেপ করতে হয় স্বয়ং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। সোমবার, ভারতীয় সময় সন্ধেয় হ্যারির সঙ্গে বৈঠকের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন রানি। সেখানেই তিনি জানান, তাঁর নাতি ও পরিবারের সিদ্ধান্তের পাশে আছে রাজপরিবার। পরিবর্তিত সময়ের মধ্যে দিয়ে তাঁরা চলেছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে জানান রানি। এই বিবৃতির পরে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের স্বাধীন জীবনচর্চার পথ সুগম হল বলে মনে করা হচ্ছে।
Queen says Harry and Meghan to ‘spend time in Canada and the UK’ after period of ‘transition.’ Says family ‘entirely supportive’ of couple’s desire to live more independent life. Queen says more issues to resolve, wants ‘final decisions to be reached in the coming days.’ pic.twitter.com/if3TqfIGA5
— CBC News Alerts (@CBCAlerts) January 13, 2020