এবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করলো মোদি সরকার! কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চাইছে কী, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠলো৷
আগামী 8 জানুয়ারি দেশজুড়ে ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে রেল-কর্মচারিদের মিছিল-মিটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো রেলবোর্ড৷ একইসঙ্গে ওই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে
ট্রেন চলাচলে শ্রমিক কর্মচারীদের বাধা, রেলের সম্পত্তির ক্ষতি, এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, কড়া ব্যবস্থা নেবে রেল। রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে এক সার্কুলারে একথা জানানো হয়েছে দেশের সব রেল-ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার এবং কলকাতার মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে৷ রেলবোর্ড ওই সার্কুলারেই জানিয়েছে, বাতিল করা হয়েছে ধর্মঘটের দিন রেলকর্মীদের নেওয়া
সমস্ত ছুটিও। সার্কুলারে বলা হয়েছে, রেলশ্রমিক ও কর্মচারীদের সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির যে কথা ঘোষনা করা হয়েছে, সেই সময়ে এবং ধর্মঘটের দিন কোনও ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হবে না।
রেল-বোর্ডের নির্দেশ, এই সার্কুলার অমান্য করা হলে, রেলওয়ে অ্যাক্টের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট 3টি ধারা সাধারনত রেল-কর্মচারিরা ট্রেন চলাচলে বাধা দিলে, রেলের সম্পত্তির ক্ষতি করলে, অথবা যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে প্রয়োগ করা হয়। অথচ এবারের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ, মিছিল বা গেট মিটিং করলেও এসব ধারার প্রয়োগ হবে৷ প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রের এত ভয় কেন? এত হুঁশিয়ারি-ই বা কেন? রেল শ্রমিক-কর্মচারীদের বক্তবা, জরুরি অবস্থার সময় তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকারের এমন হুমকি শোনা গিয়েছিলো।

বামপন্থীদের ডাকা 8 জানুয়ারির সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনে 2-7 জানুয়ারি রেলকর্মীদের প্রতিবাদ সপ্তাহের ঘোষনা করা হয়৷ ধমর্ঘট এবং ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার বন্ধ করতে রেলবোর্ড এই সার্কুলার জারি করায়
আশংকা দেখা দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার রেলকর্মীদের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ কেন করছে ?































































































































