যাদবপুর-কর্তাদের রাজভবনে তলব, সব উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক, এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়

0
4

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার অন্দরে এবার ঢুকতে চাইছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে শনি এবং রবিবার ট্যুইট এবং পাল্টা ট্যুইটেই বিরোধ থিতিয়ে যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা এখনও দেখা দেয়নি৷

সমাবর্তন-কাণ্ড এবং তার আগে-পরের নানা ঘটনা নিয়ে যাদবপুরের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে বিস্তারিত রিপোর্ট সহ ডেকে পাঠালেন আচার্য জগদীপ ধনকড়। আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে রাজভবনে দেখা করতে বলা হয়েছে।

রাজভবন থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে উপাচার্য এগজিকউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকলেন, আচার্যকে ছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠান কেন করা হল, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। রাজভবনের এই চিঠিতেই থেকেই স্পষ্ট, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ট্যুইট এবং পাল্টা ট্যুইট চললেও, দূরত্ব এখনও কমেনি। আশঙ্কা, এবারের জল অনেক দূরই গড়াবে।

এখানেই শেষ নয়৷ আগামী ১৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় রাজভবনে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলছে, তার বর্তমান অবস্থা কী, সেই সংক্রান্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট ৮ জানুয়ারির মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপাচার্যদের। , রাজ্য প্রশাসনকে আরও ক্ষুব্ধ করে রাজ্যপাল আরও বেশি করে এ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকতে চাইছেন ধনকড়। ওদিকে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালকে দেওয়ার জন্য রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে যাদবপুর। এদিকে, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের খবর, ওই সময়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ছুটির আবেদন আগে থেকেই মঞ্জুর করা রয়েছে। তাই তিনি সেদিন রাজভবনে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। তবে, উপাচার্য না গেলে
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি পেলে সহ- উপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা রাজভবনে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন-পুলিশ বাধা দিলে লড়াই হবে, দায়ী থাকবে প্রশাসন, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র