নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচারে নামছে বিজেপি৷ এই প্রচারের জেরে রাজ্যে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন৷ নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে বা বিপক্ষে সমর্থন বা প্রতিবাদের নামে যাতে হিংসা আর না ছড়ায়, সে জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি হলো নবান্নের তরফে৷ রাজ্যের সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সতর্ক করে হল নবান্নের তরফে। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জেলাশাসকদের ফোন করে এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন, কোথাও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে৷ কারো বিরুদ্ধে প্ররোচনার দেওয়ার তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাইরে থেকে এসে যাতে কেউ রাজ্যে গন্ডগোল পাকাতে না পারে, সে জন্য শহর এলাকায় হোটেল ও গেস্ট হাউসে পুলিশি নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে। যাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন, তাঁদের সম্পর্কেও স্থানীয় থানাকে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।
CAA-সংক্রান্ত আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে পর পর হিংসার ঘটনা এবং পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ রাজ্যেও শুরুর দিকে কয়েকটি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে নতুনভাবে আঁচ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। এতদিন চুপ থাকলেও বিজেপি এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই আইনের পক্ষে পাল্টা প্রচারে নামছে। তার জেরেই রাজ্যে ফের অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন৷ গোয়েন্দা রিপোর্টেও তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। সে কারনেই অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে চায় রাজ্য প্রশাসন। হিংসা বন্ধে ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই সতর্ক হচ্ছে প্রশাসন৷
আরও পড়ুন-কারও দেশ ছিনিয়ে নেওয়া হবে না, রামলীলা ময়দান থেকে মোদির জবাব





























































































































