শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলীয় বিধায়ক-সাংসদদ-নেতা-মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর NRC-CAA নিয়ে তাঁর গণ ভোটের বক্তব্যকে নিজের অবস্থান ফের একবার ব্যাখ্যা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “NRC-CAA নিয়ে দেশের মানুষের মন বুঝতেই আমি নিরপেক্ষ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গণভোট করানোর কথা বলেছিলাম। উদাহরণ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের কথা উল্লেখ করি।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে ছাত্র-যুবদের ডাকা NRC-CAA বিরোধী মঞ্চে রাষ্ট্রসংঘের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার অধীনে দেশজুড়ে গণভোটের দাবি তোলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ”NRC-CAA দেশের কতজন মানুষ চান আর কতজন চান না। সেটা নিয়ে একটা গণভোট হয়ে যাক।
এবং বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে রাষ্ট্রসংঘ বা মানবাধিকার কমিশনের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের অধীনর দেশজুড়ে সেই গণভোট হোক। বিজেপি যদি হেরে যায়, তাহলে পদত্যাগ করুক।”
মমতার এই মন্তব্যের পরই তার বিরোধিতায় সরব হয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের রাজনীতি করার জন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী এধরনের মন্তব্য করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
এদিন তৃণমূল ভবনে দলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং “গণভোট” নিয়ে ফের একবার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।































































































































