রাজ্য রাজ্যপাল লড়াইয়ের মাঝেই ক্ষমতা খর্ব হল আচার্য তথা রাজ্যপালের। মূলত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে গণ্ডিতে বেঁধে দিতেই এই পদক্ষেপ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেশ করা এই নয়া বিধিতে যা বলা হয়েছে —
১. রাজভবনে থাকবেনা আচার্যের কোনও অফিস
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে আচার্যকে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে
৩. উপাচার্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এখন আর রাজ্যপাল শেষ কথা হবেন না। সার্চ কমিটি যাকে পছন্দ করবে তাঁর নামেই সিলমোহর দিতে হবে আচার্যকে
৪. কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্যকে আমন্ত্রণ জানাতে গেলে উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কমিটিতে আচার্য কোনও মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী তিনটি নাম পাঠাবেন। তার মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হবে আচার্যকে
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, কোর্ট, সিন্ডিকেট কিংবা কর্মসমিতির সভা ডাকতে গেলে উপাচার্য শিক্ষা দফতরকে জানাবেন। শিক্ষা দফতর প্রয়োজন মনে করলে আচার্যকে জানাবেন
৭. উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যর বিদেশ ভ্রমণে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে
৮. বিদেশ ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পর রিপোর্ট দিতে হবে উচ্চশিক্ষা দফতরে। যার প্রতিলিপি যাবে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে
৯. শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রশ্ন উঠলে উপাচার্যদের বিরুদ্ধে রাজ্যের এ গ্রেড কর্মচারীর মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে