
এমনও হয় ?
এ কারনেই বোধহয় বলা হয়, শেষ ডাক কখন আসবে, কেউ জানেনা৷ তারই যেন এক মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হলো সোমবার রাতে, দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকায়৷
দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে নিজেদের এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনতে বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা৷ সোমবার রাতে সেভাবেই দেশপ্রিয় পার্ক এলাকায় সরস্বতী দাস নামে এক বৃদ্ধার বাড়ি যান স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কাউন্সিলরকে একদম সামনে পেয়ে বৃদ্ধা সরস্বতী দাস তাঁকে জানান, তাঁর তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক মেয়ে এবং জামাই তাঁর দেখাশোনা করেন। কিন্তু অন্য দুই মেয়ে ও জামাইরা তাঁকে এই
বাড়ি থেকে তাড়াতে চাইছেন। টাকার জন্য হুমকি দিচ্ছে৷ গুরুতর এই সমস্যার কথা শুনে দেবাশিস কুমার বৃদ্ধাকে আশ্বাস দেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। কারো সাধ্য হবেনা সরস্বতী দেবীকে উৎখাত করার৷
দুই মেয়ের সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন। এমন আশ্বাসই দিলেন দেবাশিস কুমার৷
এরপরই সবার চোখের সামনে ঘটে গেল সেই ঘটনা, বুদ্ধিতে যে ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা চলেনা৷
দেবাশিস কুমারের পাশে থাকার আন্তরিক আশ্বাস শুনেই বিছানার ওপরই হঠাৎ ঢলে পড়লেন বৃদ্ধা!
চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে থতমত খান কাউন্সিলর ও উপস্থিত অন্যান্যরা। হতচকিত ভাব কাটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দেবাশিস কুমার ওই বৃদ্ধাকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন৷ সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চোখের সামনে ওই বৃদ্ধার এমন মর্মান্তিক মৃত্যু এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না দেবাশিস কুমার।






























































































































