প্রি-টেস্টে ফুল মার্কস, প্রশান্ত কিশোরের মুখে প্রশান্তির হাসি

0
5

উপনির্বাচন না কি ফাইনাল পরীক্ষার প্রি-টেস্ট? ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচন যেন একুশের বিধানসভা ভোটের অ্যাসিড টেস্ট। লোকসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপির ফলে চওড়া হাসি হেসেছিলেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, ২০২১-শে বাংলা জয়ের দিবাস্বপ্নেও যেন দেখেছিলেন তাঁরা। মা-মাটি-মানুষের দলের সঙ্গে জনতার সংযোগ কমে গিয়েছে বলে মত ছিল রাজনৈতিক মহলের।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের ৬ মাস পরে বাংলায় ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে একটিও আসন পেল না গেরুয়া শিবির। আর এবার যাঁদের হাসি চওড়া হল, তাঁদের অন্যতম নাম পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর। নিজের মনোভাব লুকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। নির্বাচন রণনীতি গুরু প্রশান্ত কিশোর বলেন, এই ফলাফলে তিনি দারুণ খুশি।

করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ৩ কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরে এই প্রথমবার জয় পেল শাসকদল। লোকসভা ভোটের ফলের পরে নির্বাচন রণনীতি গুরু পিকে-র দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এই পিকে-ই কিন্তু একসময় ছিলেন বিজেপির ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট । নিজের টিম নিয়ে জেলা ভিত্তিক কাজ শুরু করেন প্রশান্ত কিশোর। বাংলায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু হয়। জোর দেওয়া হয় সেই জনসংযোগে, যেটা একসময় তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা বলে মনে করা হত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৫ নভেম্বরের ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনকেই প্রি-টেস্ট হিসেবে ধরে শাসকদল। কালিয়াগঞ্জে ৫ জনের, করিমপুরে ৪ জনের ও খড়গ্পুরে ৭ জনের দল গঠন করে লাগাতার মাসখানেক ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সুযোগ-সুবিধা, অভাব-অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়।

তৈরি হয় কেন্দ্র ভিত্তিক ইশতেহার। এমনকী, স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে তেলুগু ভাষাতেও ইশতেহার প্রকাশ করে তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জে এনআরসি নিয়েও ভোটারদের বোঝায় শাসকদল।

এর পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সরিয়ে একছাতার তলায় সবাইকে নিয়ে এসে একসাথে কাজ করার উপর জোর দেন পিকে। আর সেই হোমওয়ার্কের জেরেই প্রি-টেস্টে ফুল মার্কস ঘাসফুলের। আর প্রশান্তি প্রশান্ত কিশোরের মুখে।