
শরদ পাওয়ার কথা রেখেছেন বিজেপিকে সমর্থন করে। এবার বিজেপির কথা রাখার পালা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এবার বিজেপিকে বলতে হবে শরদ পাওয়ার-ই দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। এই শর্তেই শোভনীয় পথে না হেঁটে একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘পাল্টি’ খেলেন পাওয়ার।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপি-প্রধান শরদ পাওয়ার৷ সেই বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি করে দুই দলই৷ কিন্তু বাস্তব যে তা ছিলোনা, শনিবার সকালেই তা বুঝেছে গোটা দেশ। মোদি-পাওয়ার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারেই শনিবার সাতসকালে আরব সাগরের পাড়ে দেশের সর্বাপেক্ষা বড় রাজনৈতিক চমক৷ শিবসেনার মুখের গ্রাস একেবারে শেষমুহূর্তে কেড়ে শেষ হাসি বিজেপির-ই৷ মহারাষ্ট্রে মহা-চমক দেখিয়ে সরকার গড়ে ফেলেছে বিজেপি- এনসিপি জোট৷ দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ এবার উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন অজিত পাওয়ার৷
কোনও দলই মহারাষ্ট্রে এবার ম্যাজিক-ফিগার না ছুঁতে পারায় সরকার গড়া নিয়ে নানা জল্পনা চলেছে। রাষ্ট্রপতি-শাসনও জারি হয়েছে।
কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট সরকার গড়ছে, তা একপ্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার রাতে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের নাম ঘোষণাও হয়৷ কিন্তু তার মাত্র কয়েকঘন্টা পর, শনি বার সাত সকালেই পাল্টে গেল সব অঙ্ক। এনসিপির হাত ধরে জোট সরকার গড়ল বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী হলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার৷
বুধবারের মোদি ও পাওয়ারের বৈঠকের পরপরই শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের পক্ষে মত দেন কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী। শুরু হয় বিকল্প সরকার গঠনের প্রক্রিয়া৷ কিন্তু সেই সব কৌশল ভেস্তে দিয়েশেষ হাসি হাসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং বিজেপি। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি৷































































































































