কোম্পানির ডিরেক্টর জানেন না তাঁর নামে অন্য ইমেল তৈরি হয়ে সেখান থেকে ইস্তফা চলে গেছে। সেই ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। আর নতুন ডিরেক্টরদের নাম আর ও সির ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে।
অভিনব এই প্রতারণার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিশিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টর। বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। অথচ কী আশ্চর্য দায়সারা মনোভাব দেখিয়ে কার্যত নিষ্ক্রিয় পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসার শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় তদন্তে অনেকটা এগিয়েও কোনো রহস্যময় কারণে যথাযথ পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকছেন। উল্টে তদন্তটাই ঘাড় থেকে নামাতে মরিয়া বলে একটি সূত্রের খবর।
গ্রিনজেন বায়ো নামে সংস্থাটি হাসপাতালের বর্জ্য সরানোর জরুরি ক্ষেত্রে কাজ করে। তার মালিকানা দখলেই অভিনব কায়দায় প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে ডিরেক্টর বাদ পড়ে নালিশ করছেন এবং যিনি অভিযুক্ত, তাঁদের বাড়ি বা কার্যালয় বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন। কোম্পানি কাজ করছে শিলিগুড়িতে।
এই যদি হয় প্রতারণার নতুন ধরণ, তাহলে তো এসব ছোঁয়াচে রোগের মত ছড়াবে। কারুর নামে ভুয়ো ইমেল খুলে কুকীর্তি হবে, কোম্পানির দুএকজনকে হাতে রাখলেই যেকোনো চক্রান্ত সফল হয়ে যাবে। আর পুলিশ যদি নীরব বসে থাকে বা দায় এড়ায়, তাহলে আরও সুবিধে পাবে প্রতারকরা।
প্রশ্ন উঠেছে তদন্তকারী অফিসার এই মারাত্মক অপকীর্তির তদন্ত এগোলেও হঠাৎ কেন হাত গুটিয়ে নিলেন? কেন তিনি কোর্টকে যথাযথ রিপোর্ট না দিচ্ছে অভিযুক্তের সুবিধেমত বিলম্বিত প্রক্রিয়ায় ঠেলে দিচ্ছেন বিষয়টি?
সূত্রের খবর, এর মধ্যে রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু শনিবার দুপুরে ঐ মন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি এর মধ্যে নেই। তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের শিবির পুলিশকে সামলাতে মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করলেও আইনি প্রস্তুতিতে সক্রিয় বিজেপি বলে পরিচিত আইনজীবী শিবিরকে ব্যবহার করছেন। প্রশ্ন, তাহলে কি পুলিশের একাংশ বিজেপির যোগাযোগে প্রভাবিত হচ্ছে?
যে কায়দায় এই প্রতারণা হয়েছে, এতে উদ্বিগ্ন কর্পোরেটশিবির। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বহুদূর যেতে চান। পুলিশের রহস্যময় নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুএকদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। যেখানে অভিযুক্ত প্রতারকরা বিজেপি শিবিরের মদত পাচ্ছে, সেখানে পুলিশ কেন নীরব? ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি বলে দেখিয়ে এখানকার প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া তদন্তকে নতুন করে জলে ফেলা হোক, চাইছে অভিযুক্তরা। এখন দেখার বিষয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের তদন্তকারী অফিসার এই অভিনব প্রতারণার বিরুদ্ধে কোর্টে কড়া রিপোর্ট দেন, না কি তাঁর পদক্ষেপে হাসি ফোটে অভিযুক্তশিবিরের মুখে?
আরও পড়ুন-বড়সড় অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচল ইন্দোর– কামাখ্যা এক্সপ্রেস





























































































































