চিরাচরিত ধ্যানধারণাকে নস্যাৎ করে ফিরহাদ হাকিম আক্ষরিক অর্থেই এখন কলকাতার মেয়র তথা মহানাগরিক। কলকাতার মেয়র মানেই দক্ষিণের জনপ্রতিনিধি, এটা কার্যত সতঃসিদ্ধ হলেও সেই ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে ফিরহাদ ওরফে ববি এখন দক্ষিণ-উত্তরের বিবাদের উর্ধে ১৪৪ ওয়ার্ডেরই মেয়র। এই সেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন মেয়র, তখন অনেকেরই অভিযোগ ছিল, মেয়র উত্তরে তেমন নজর দেন না, অনুষ্ঠানে আসেনও কম। কিন্তু ফিরহাদ হাকিম সেই অপবাদ ভেঙে দিয়েছেন। তিনি দুই কলকাতাকে সমানভাবে শুধু গুরুত্ব দিচ্ছেন তাই নয়। ডাক এলেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, উত্তরের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছেন, যেভাবে তাঁর চারণভূমি দক্ষিণে করে থাকেন। আর মেয়রের এই উদ্যোগে সবচেয়ে চাঙ্গা উত্তরের কাউন্সিলররা। তাঁরা দেখছেন আগের চাইতে কাজ হচ্ছে দ্রুত, মানুষও পরিষেবা পাচ্ছেন। দুই মন্ত্রী সাধন পান্ডে বা শশী পাঁজাও মেয়রের এই ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একদিকে যেমন উত্তরের সাংসদ তথা বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়রের ভূমিকাকে সদর্থক ভঙ্গিতে দেখছেন, তেমনি দক্ষিণের সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলছেন, এটাই চাইতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র আর আমরা সেই চেষ্টাই করছি। মানুষ বলবেন শেষ কথা।
বছর গড়ালেই ২১শে পুরসভার ভোট। সে দিকে লক্ষ্য রাখলে বলতেই হয়, আগের পুর নেতৃত্বের সব খামতি মুছতে ফিরহাদ বদ্ধপরিকর। মানুষও সাড়া দিচ্ছেন। বিরোধী মহলেও গুঞ্জন, নতুন মেয়র একটা কাজের পরিবেশ তৈরি করেছেন। এটার ফয়দা নিশ্চিতভাবে পাবে তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরে চিন্তার ভাঁজ।

আরও পড়ুন – অনলাইনে মোবাইল কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু






























































































































