রাজীব কুমারের আগাম জামিনের মামলাকে কেন্দ্র করে CBI-এর বিশেষ আদালতের ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও মামলার বিচারের জন্য এই আদালত গঠন করা হয়েছে। এতদিন স্পষ্ট হয়নি, এই বিশেষ আদালতের ক্ষমতা বা এক্তিয়ার ঠিক কতখানি। মঙ্গলবার পুলিশকর্তা রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি এই বিশেষ আদালতেই প্রথমে পেশ করেন তাঁর আইনজীবীরা। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিশেষ আদালতের বিচারক সঞ্জীব দারুকা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই বিশেষ আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ছে না কাউকে জামিন দেওয়া বা আগাম জামিন মঞ্জুর করা অথবা কোনও অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর বিষয়গুলি।” তিনি বলেন, ” এই আদালত শুধুমাত্র কোনও মামলার দায়রা বিচার বা ‘ট্রায়াল’ শুনতে পারে। কোনও অভিযুক্তকে পুলিশি হাজতে পাঠানো বা কাউকে জামিন দেওয়া বা আগাম জামিনের আর্জি শোনার আইনি অধিকার এই আদালতকে দেওয়া হয়নি”।
আরও পড়ুন – রাজ্যের দাবি নিয়েই দিল্লির দরবার, বিমানবন্দরে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এরপরই প্রশ্ন ওঠে বিশেষ আদালতে চালু থাকা কোনও মামলার কোনও অভিযুক্তকে যদি তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে, তাহলে ধৃতকে কোন আদালতে তোলা হবে? এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষ আদালতের বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন সারদা-সংক্রান্ত মামলার বিচার প্রয়োজনে যে আদালতে মূল মামলা শুরু হয়েছিলো, সেই আলিপুর কোর্টে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এরপরই আইনজীবী মহলে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন ওঠে, যদি উপযুক্ত ক্ষমতাই দেওয়া না হয়, তাহলে CBI-এর এই বিশেষ আদালত বা এমপি-এমএলএদের এই আদালত গঠন করা হয়েছে কেন?
আরও পড়ুন – প্রায় আড়াই বছর পরে মোদি-মমতার একান্ত কথা বুধবার দিল্লিতে