বুধবার ঘড়ির কাঁটায় ভোর সাড়ে তিনটে বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। কেউ বাড়ির সব সদস্যদের নিয়ে চোখ রেখেছেন টেলিভিশন স্ক্রিনে, কেউ আবার মর্নিং ডিউটিতে বেরোনোর আগে মোবাইলে নাসার (NASA) লাইভ ভিডিও সেকশনে উঁকি দিয়েছেন। অনেকে আবার সারারাত উত্তেজনায় ঘুমোতেই পারলেন না। ২৮৬ দিন পর পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস – বুচ উইলমোর (Sunita Williams – Butch Wilmore)। মহাশূন্য থেকে সোজা নেমে এলেন আকাশকন্যা, ল্যান্ড করলেন সমুদ্রে। স্বাগত জানালো গোটা বিশ্ব। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না মহাকাশচারীদের। ৯ মাস ধরে মাধ্যাকর্ষণের (G force) বাইরে থাকার পর এখন মাটিতে পা ফেলাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সুনীতাদের জন্য।

চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন শারীরিকভাবে এই দুই নভশ্চর অনেকটাই দুর্বল থাকবেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা গেল সত্যিই ব্লাড প্রেসার থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা, সবেতেই বেশ কিছুটা অবনতি হয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ মাস হাড় এবং পেশির ক্ষয়, সহনশীলতার অভাব, ভারসাম্য বজায় রাখা-সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন সুনীতারা। বিশেষ করে পায়ের জোর একদম কমে যাওয়ায় এখনই হাঁটতে পারবেন না যুগলে। পৃথিবীতে ফেরার পর এই দুই মহাকাশচারীকে আবার তাঁদের শরীরকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য তৈরি করতে হবে। তাই দু’জনকেই অন্তত প্রথম ৪৫ দিন কাটাতে হবে ক্রু-কোয়ার্টারে। বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ তাঁদের নিয়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের (Space X) মহাকাশযান আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করে। তাঁদের স্থলভাগে আনার জন্য আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল মার্কিন নৌ সেনা বাহিনীর জাহাজ। আপাতত কয়েকদিন হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারে থাকবেন দুই মহাকাশচারী।
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































