নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) দখলের পর জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতিতে মগ্ন মারাঠা বিজেপি জোট। কমিশনের ভোটার তালিকা (voter list) কারচুপি প্রকাশ্যে আসতেই মহারাষ্ট্র ধরে রাখতে ফের ইতিহাসের তাস পেশ বিজেপির। মহারাষ্ট্রের মাটি থেকে মুঘল ইতিহাসকে মুছে ফেলতে তৎপর ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis) প্রশাসন। যার জেরে জ্বলছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur)। এরপরেও ইতিহাস আর সম্প্রতি রিলিজ হওয়া চলচ্চিত্র ‘ছাবা’কে (Chhaava) হাতিয়ার করে সেই হিংসাকেই প্রশ্রয় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ ও মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde)। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হিংসার ঘটনাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দাবি করলেন ফাড়নবিশ।
নাগপুরের (Nagpur) হিংসার আঁচ যেখানে লোকসভা পর্যন্ত পৌঁছেছে, সেখানে ব্যর্থ ফাড়নবিশ প্রশাসন এখনও ব্যস্ত ঔরঙ্গাবাদ থেকে ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি উপড়ে ফেলতে। ফের একবার সেই ইস্যুতে ধুয়ো দিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে শিন্ডের দাবি, ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb) ছত্রপতি শিবাজী (Shivaji) ও শম্ভুজি মহারাজ, এমনকি আমাদের দেশের শত্রু ছিলেন। তাঁকে সমর্থন যারাই করবেন তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।
যে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী (deputy Chief Minister) এভাবে ইতিহাসকে হাতিয়ার করে ভেদাভেদের বার্তা দেন, সেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা স্বাভাবিক, দাবি বিরোধীদের। নাগপুরের (Nagpur) হিংসার ঘটনার পরে স্থানীয়রা দাবি করেছেন হামলার খবর দেওয়া হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। এমনকি পুলিশের সামনে যখন হামলা হয়েছে তখন পুলিশ ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। বিরোধীদের দাবি গোটা ঘটনা পরিকল্পনামাফিক ঘটতে দিয়ে এখন নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার।
নাগপুরের ঘটনায় মুখ পোড়ার পরে দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis) গোটা ঘটনাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রাগ বলে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। তাঁর দাবি, সম্প্রতি ‘ছাবা’ চলচ্চিত্রে ছত্রপতি শম্ভুজী মহারাজের ইতিহাস ফুটে ওঠার পর তাঁদের অনুভূতি জ্বলে উঠেছে। যার ফলে ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে তাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং আমাদের সকলকে শান্ত থাকতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–