ব্রাত্যর বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার: ৩ SFI সদস্য-সহ CPIM নেতা পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদ

0
1

শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বনেটে উঠে লাফালাফি, কাচ ভাঙাই নয়, রাতে চুপি চুপি গিয়ে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার লাগানোতেও নাম জড়ালো এসএফআইয়ের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাড়ির দেওয়ালে ‘Wanted’ পোস্টার সাঁটানো হয়। কিন্তু সেখানে কারও নাম ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজনকে মঙ্গলবার সন্ধেয় লেকটাউন থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায় এঁরা তিনজনেই সক্রিয় এসএফআই কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা স্বীকার করেন, উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক পলাশ দাশের নির্দেশেই তাঁরা এই কাজ করেছেন।

১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ওপেন এয়ার থিয়েটারে ছিল ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। এই কর্মসূচিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য রাখতে শুরু করলেই অভব্য আচরণ শুরু করে বাম-অতিবাম সংগঠনগুলি। চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ করা হয় অধ্যাপকদের। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙা হয় সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারের কাচও। শিক্ষামন্ত্রী বারবার তাঁদের দাবি শুনে আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে মন্ত্রীর গাড়ির বনেটে উঠে তুমুল অশান্তি করেন বিক্ষোভকারীরা।

এরপরেই ব্রাত্য বসুর বাড়ির দেওয়ালে, “Wanted Bratya Basu” লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়। এই ঘটনার তদন্তে নামে লেকটাউন থানার পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে তিনজনকে সনাক্ত করে। এদিন সন্ধেয় তাঁদের লেকটাউন থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আর তাতেই জানা যায়, এই ‘অসভ্যতা’র পিছনে রয়েছেন সিপিএম নেতা পলাশ দাশ। তাঁর নির্দেশেই এসএফআইয়ের সক্রিয় কর্মী ঋতঙ্কর দাশ-সহ তিনজন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির বাইরে দেয়ালে পোস্টার লাগান। জিজ্ঞাসাবাদে সে কথা স্বীকার করেন ঋতঙ্কর।

কে এই পলাশ দাশ? কয়েকদিন আগেই সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক পদে রদবদল হয়েছে। আগের উত্তর ২৪ পরগনারজেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিপুল অভিযোগ থাকায় তাঁকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয় পালাশকে। আর নতুন চেয়ার পেয়ে আস্ফালন করতে নিজে পিছনে থেকে পড়ুয়াদের অনৈতিক কাজের দিকে ঠেলে দেন এই সিপিআইএম নেতা। অথচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমালের দিন এসএফআই সদস্যরা কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়। আর এদিকে বাম নেতা সরাসরি সামনে এসে কথা বলার সাহস না দেখিয়ে, কমবয়সী ছাত্র সংগঠনের তরুণদের অনৈতিক কাজে ভিড়িয়ে দিয়েছেন। এই কাজে আর কে কে জড়িত- তা পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে আরও স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়ন লক্ষ্য রাজ্যের! সিআইআইয়ের সভায় বললেন মন্ত্রী শশী পাঁজা

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_