দিনভর টানটান উত্তেজনা ও বিতর্কের পর শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিলেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় (Chairman Malay Roy)। জানালেন, সর্বোচ্চ নেত্রী যখন বলে দিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নির্দেশ মানতে হবে।প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। এরপর মলয় জানিয়ে দেন, ‘মন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছি। SDO-কেও দিয়ে এসেছি’।
তিনি বলেন, ‘আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ফিরহাদ হাকিম আমায় অনেক সাহায্য করেছেন। রাস্তা, জল, নিকাশি সবকিছু দিয়েছেন। আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’
নাগরিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে পানিহাটি পুরসভার ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছিল। সম্প্রতি স্থানীয় অমরাবতী মাঠের বড় অংশ আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়। শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। প্রায় ৮৫ বিঘার ওই মাঠ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই সবের মধ্যে শাসকদলের শীর্ষ স্তর থেকে পানিহাটির পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় গত শনিবার।
পানিহাটি পুর এলাকার অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী একটি অভিযোগ পান। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাক্রমে প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন মুখ্যসচিব। তার পরেই পুরপ্রধানের পদ থেকে মলয়কে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































