কলকাতার ঐতিহ্য জাতীয় গ্রন্থাগার কেন্দ্রের বর্তমান মোদি সরকারের আমলে পোড়ো বাড়ির রূপ নিচ্ছে দিনে দিনে। শুধু তাই নয় জাতীয় গ্রন্থাগারে রাজ্য সরকার বা তার প্রতিনিধিদেরও প্রবেশেও জারি হয়েছে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে এই সব বিষয় উঠে আসে আলোচনায়। ন্যাশানাল লাইব্রেরি নিয়ে বলতে গিয়ে পর পর আত্মঘাতী গোল করেন বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। যার জেরে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান তাঁর সতীর্থ বিজেপি বিধায়করা।
সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে আলোচনায় উঠে আসে জাতীয় গ্রন্থাগারের সংস্কার প্রসঙ্গ। প্রশ্নোত্তর পর্বে সংস্কারের দাবি জানিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন রাখেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। সরব হন আলিপুরের জাতীয় গ্রন্থাগারের বেহাল দশা নিয়ে। অবিলম্বে সংস্কার করার প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর এই নিয়ে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি।তবে ভুলে গিয়েছিলেন সম্ভবত জাতীয় গ্রন্থাগারের দেখভালের দায়িত্ব ও পরিচালনার দায়িত্ব খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধে। এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আলিপুরের জাতীয় গ্রন্থাগার এর ভগ্নদশা নিয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। তিনি প্রশ্ন করেন রাজ্য সরকার কী করছে?
উত্তরে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান, জাতীয় গ্রন্থাগার কেন্দ্রের অধিনস্ত। সেখানে রাজ্যের কিছু করার নেই। সেই সঙ্গে তিনি এটাও জানান যে জাতীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করার কথা বলা হলেও তাঁরা কেউ আসেন নি। বরং রাজ্যের ভূমিকাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জাতীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে আমরা-ওরার রাজনীতির অভিযোগ আনেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অশোক লাহিড়ীর উদ্দেশে বলেন, “আগে জাতীয় গ্রন্থাগার এ কোনও অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রণ জানাত। কিন্তু ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় বসার পর থেকে আর স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ কাউকেই ডাকা হয় না। এমনকি অনুষ্ঠানের সময় সিআইএসএফ দিয়ে বাড়তি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। যা দেখলে জাতীয় গ্রন্থাগার নয়, মনে হবে যেন কোনও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল।”
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–